
পীরগঞ্জ উপজেলার পৌর এলাকাসহ ১০টি ইউনিয়নে প্রায় ৩ হাজার আম বাগান রয়েছে। এ উপজেলার আম বিদেশে রপ্তানি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছর আমের বাম্পার ফলন হলেও দাম নিয়ে ব্যবসায়ীরা শঙ্কায় রয়েছে। আম বিক্রির ক্ষেত্রে সন্তোষজনক দাম না পাওয়ায় ব্যবসায়ীরা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পাশাপাশি অনেকেই বিপাকে পড়েছে। এ উপজেলার ল্যাংড়া, ফজলি, গোপালভোগ, খিরসাপাত, হিমসাগর, হাঁড়িভাঙা, আম্রপালিসহ ১৯ প্রজাতির আম বাগান রয়েছে। কয়েকদিন যাবৎ মুষলধারে বৃষ্টি হওয়ার কারণে গাছ থেকে প্রায় ২৫ শতাংশ পাকা আম পড়ে যাচ্ছে। বিশেষ করে রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, নওগাঁ, বগুড়া, গাজীপুর, ঢাকা, চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন জেলার আম ব্যবসায়ীরা এ উপজেলায় আড়ৎ বসিয়ে প্রত্যেক মৌসুমে আম কিনতে আসে। প্রচণ্ড ঝড়, বৃষ্টি ও আবহাওয়া অনুকূলে না থাকায় আম ক্রেতাদের এলাকায় তেমন একটা দেখা যাচ্ছে না। ফলে কম দামে ব্যবসায়ীরা আম বিক্রি করছে। প্রথম শ্রেণির ও বাছাইকৃত ৪৫ কেজি আম ১ মণ হিসেবে ১২০০/১৩০০ টাকায় বিক্রি করছে। আম ব্যবসায়ী মির্জা রুহুল আমিন (চখা), ফারুক হোসেন, নয়ন, দান আলী রবিবার জানান, আমের উৎপাদন খরচের চেয়ে কম দামে আম বিক্রি করা হচ্ছে। আম ক্রেতাদের প্রতিযোগিতা নেই। প্রায় ২ হাজার আম ব্যবসায়ী এ বছর আম বিক্রি করে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ লায়লা আরজুমান বেগম জানায়, আমের ফলন ভাল হলেও দাম নিয়ে ব্যবসায়ীরা চরম উৎকণ্ঠায় রয়েছে।
প্যানেল