ছবি: জনকণ্ঠ
নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৯তম বিশ্ববিদ্যালয় দিবসের উদযাপন শুরু হয়েছে। রবিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইসমাইল বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে বিশ্ববিদ্যালয় দিবসের কর্মসূচির উদ্বোধন করেন। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রেজওয়ানুল হক ও কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ হানিফ। সন্ধ্যায় নোবিপ্রবির জনসংযোগ শাখা বিষয়টি নিশ্চিত করে।
জাতীয় পতাকা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে দিবসের কর্মসূচি শুরু হয়। পরে বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে বিশ্ববিদ্যালয় দিবসের কর্মসূচির উদ্বোধন ঘোষণা করা হয়। এ সময় বর্ণাঢ্য আনন্দ শোভাযাত্রা ও কেক কাটার আয়োজন করা হয়। শোভাযাত্রাটি প্রশাসনিক ভবনের সামনে থেকে শুরু হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে প্রারম্ভস্থলে শেষ হয়।
সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইসমাইল বলেন, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাই। এ বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদন ও প্রতিষ্ঠায় যারা অবদান রেখেছেন, তাদের কৃতজ্ঞতাভরে স্মরণ করছি। এবার বিশ্ববিদ্যালয় দিবসকে আমরা শুধু র্যালি বা কেক কাটার মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখছি না। প্রথমবারের মতো রিসার্চ ফেয়ার, একাডেমিক এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড–২০২৫ ও গবেষণা উপস্থাপনার আয়োজন করা হয়েছে।
উপাচার্য আরও বলেন, আজ কেক কাটার মধ্য দিয়ে উদযাপন শুরু হয়েছে। আগামীকাল (২৩ জুন ২০২৫) শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. চৌধুরী রফিকুল আবরার প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বলে আশা করছি। ইতোমধ্যে রিসার্চ ফেয়ারের স্টলগুলোর প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। আগামীকাল রিসার্চ ফেয়ার উদ্বোধন এবং রিসার্চ অ্যাওয়ার্ড, ডিনস অ্যাওয়ার্ড, ভাইস-চ্যান্সেলর অ্যাওয়ার্ডসহ বিভিন্ন একাডেমিক এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হবে। বিকেলে বিভিন্ন ফ্যাকাল্টির রিসার্চ প্রেজেন্টেশন এবং মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন রয়েছে। সবাইকে অংশগ্রহণের আমন্ত্রণ জানাচ্ছি এবং সার্বিক সহযোগিতা কামনা করছি।
এ সময় বিভিন্ন অনুষদের ডিন, ইনস্টিটিউটের পরিচালক, বিভাগের চেয়ারম্যান, হলের প্রভোস্ট, শিক্ষক-শিক্ষার্থী এবং কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।
শহীদ
