ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ২২ জুন ২০২৫, ৮ আষাঢ় ১৪৩২

গ্যাস, বমিভাব বা হালকা বদহজম: ঘরোয়া এই ৭ উপায়েই মিলবে স্বস্তি

প্রকাশিত: ১৪:২২, ২২ জুন ২০২৫

গ্যাস, বমিভাব বা হালকা বদহজম: ঘরোয়া এই ৭ উপায়েই মিলবে স্বস্তি

ছবি: প্রতীকী

গ্যাস, বমিভাব বা হালকা বদহজমএইসব সমস্যায় ভোগেননি, এমন মানুষ কমই আছেন। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এসব সমস্যা সাময়িক ও ঘরোয়া উপায়ে উপশমযোগ্য। নিচে পেট খারাপ বা বদহজমের মতো সমস্যায় কার্যকর সাতটি প্রাকৃতিক প্রতিকার তুলে ধরা হলো, যা ঘরে বসেই মেনে চলা সম্ভব।

১. পুদিনা চা খান

পুদিনা পাতা পেটের পেশি শিথিল করতে সাহায্য করে এবং পেট ব্যথা বা ক্র্যাম্প কমায়। ভারী বা চর্বিযুক্ত খাবার খাওয়ার পর পেটে গ্যাস হলে, এক কাপ পুদিনা চা প্রশান্তি দিতে পারে।

২. গরম পুদিনা পান করুন

ভরা পেট কিংবা অতিরিক্ত খাওয়ার পর গ্যাস ও অস্বস্তি কমাতে হালকা গরম পুদিনা চা বেশ উপকারী। এটি বদহজম থেকেও আরাম দেয়।

৩. আদা চায়ের ইনফিউশন নিন

আদায় থাকা ‘জিঞ্জেরল’ যৌগ হজমে সহায়তা করে। এছাড়া, গাড়িতে চলার সময় বমি বা মেয়েদের মাসিকের সময়ে পেটব্যথার বিরুদ্ধেও কার্যকর।

৪. দিনে দুইবার ফ্রেশ আদা চা

তাজা আদা দিয়ে তৈরি চা দিনে দুইবার খেলে পেট ফাঁপা, অ্যাসিডিটির সমস্যা কমে এবং হজমে সহায়ক এনজাইম নিঃসরণ বাড়ে।

৫. প্রোবায়োটিক খাবার খান

দই, কেফির বা যেকোনো ফারমেন্টেড (গাঁজন করা) খাবারে থাকা জীবাণুসমৃদ্ধ উপাদান অন্ত্রের স্বাস্থ্য ঠিক রাখে, গ্যাস ও অনিয়মিত পায়খানা কমায়।

৬. নিয়মিত প্রোবায়োটিক গ্রহণ

গবেষণায় দেখা গেছে, নিয়মিত প্রোবায়োটিক গ্রহণ হজমের সমস্যা কমায়, খাবার থেকে পুষ্টি গ্রহণের ক্ষমতা বাড়ায় এবং অন্ত্রের সামগ্রিক ভারসাম্য বজায় রাখে।

৭. শরীরে পানির ভারসাম্য বজায় রাখুন

পর্যাপ্ত পানি খাওয়া হজমপ্রক্রিয়ায় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি খাবার নরম করতে এবং মলত্যাগ স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে।

পানির সঙ্গে ইলেক্ট্রোলাইট (যেমন লবণ ও পটাশিয়াম) গ্রহণ করলে হজমের পেশিগুলো আরও কার্যকরভাবে কাজ করে। বিশেষ করে ডায়রিয়া বা দুর্বলতার সময় এটি বেশ উপকারী।

পেট খারাপের সময় কলা, টোস্ট বা সাদা ভাত জাতীয় হালকা খাবার পেটকে শান্ত রাখতে সাহায্য করে। ভারী খাবার এড়িয়ে ছোট ছোট ভাগে হালকা খাবার খানবিশেষ করে ভ্রমণ, অতিরিক্ত খাওয়া বা মানসিক চাপের পর।

পেট খারাপ হলে ওষুধের আগে ঘরোয়া পদ্ধতিই হতে পারে প্রথম ভরসা। তবে উপসর্গ বেশি হলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

 

সুত্র: https://www.moneycontrol.com/health-and-fitness/

রাকিব

×