
পিরোজপুর জেলার সাতটি উপজেলার মধ্যে নেছারাবাদে ডেঙ্গু জ্বরের প্রার্দুভাব তুলনামূলক কম থাকলেও সাম্প্রতিক সময়ে ধীরে ধীরে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। গত ২৪ ঘণ্টায় নেছারাবাদ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে পাঁচজন রোগী ভর্তি হয়েছেন। তাদের মধ্যে তিনজন নারী ও দুইজন পুরুষ।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, গত এক সপ্তাহে মোট ১৫ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন, যার মধ্যে নারীর সংখ্যাই বেশি। যদিও এই সংখ্যা গত বছরের তুলনায় এখনও অনেক কম, তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই প্রবণতা অব্যাহত থাকলে শিগগিরই তা উদ্বেগজনক মাত্রায় পৌঁছাতে পারে।
স্থানীয় সচেতন নাগরিকরা জানান, স্বরূপকাঠি পৌর শহরের পাড়া-মহল্লায় জমে থাকা বৃষ্টির পানি, ডাবের খোসা ও ময়লা আবর্জনায় এডিস মশার বিস্তার ঘটছে। সময়মতো মশক নিধনের ওষুধ ছিটানো হলে পরিস্থিতি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব হবে বলে মনে করছেন তারা।
নেছারাবাদ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আসাদুজ্জামান বলেন, এখন পর্যন্ত ডেঙ্গু রোগীর চাপ তুলনামূলকভাবে কম। তবে মশার কামড় এড়াতে ব্যক্তিগত সচেতনতা ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা খুবই জরুরি। পাশাপাশি মশার প্রজননস্থল ধ্বংস, পরিবেশ পরিচ্ছন্ন রাখা এবং মশারি ব্যবহার করাও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।”
এদিকে, নেছারাবাদ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও স্বরূপকাঠি পৌর প্রশাসক মো. জাহিদুল ইসলাম জানান, খুব দ্রুত পৌর এলাকায় মশক নিধনের ওষুধ ছিটানো হবে। কোথাও যেন এডিস মশার বংশ বিস্তার না ঘটে, সেদিকে কঠোর নজরদারি রাখা হচ্ছে। এছাড়া যার যার বাড়ির আশপাশ পরিষ্কার রাখা প্রত্যেকের নাগরিক দায়িত্ব।
পৌরবাসীরা বলছেন, প্রতি বছর বর্ষা মৌসুমে ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব বাড়ে। এবার তুলনামূলক কম হলেও টানা বৃষ্টিতে বিভিন্ন এলাকায় পানি জমে মশার উপদ্রব বেড়েছে। এমনকি দিনের বেলাতেও ঘরে মশার কয়েল জ্বালিয়ে বসবাস করতে হচ্ছে। তাই সময় থাকতে এডিস মশার বিস্তার রোধে প্রয়োজন দ্রুত ও কার্যকর উদ্যোগ।
Jahan