
ছবি: জনকন্ঠ
ঈদ ,পূজা , কিংবা দিবসে পরিবারের পাশে সময় না দিয়ে নিজের দায়িত্বকে ইমানী কর্তব্য মেনে কাঠফাটা রোদ ও বৃষ্টিতে সড়ক যানজট নিরসনে কাজ করে যাচ্ছেন ট্রাফিক বিভাগের এই কর্মচারী এ,টি,এস,আই জসিম উদ্দিন ।
পরিবারকে সময় দেয়াতো দূরের কথা ঠিকভাবে খাওয়া আর ঘুমের সময়টা মাঝে মধ্য হয় না তার । সাম্প্রতিক আট বছরের কন্যার ছোট হাতে ছোট লেখাটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছে। ফেসবুকে বাবাকে উদ্দেশ্যে করে মেয়ের লেখা চিঠিটি এখন ভেসে বেড়াচ্ছে।
বাবার প্রতি মেয়ের এমন ভালোবাসার কথা বলছেন আট বছরের কন্যা নুসরাত জাহান মিষ্টি।- সেখানে কন্যা লিখেছেন," প্রিয় বাবা, আমি তোমার মিষ্টি আম্মু। তুমি ডিউটিতে এত ব্যস্ত! আমি ফোন দিলে ফোন ধরো না। তাই আমি চিঠি লিখছি:- সারাদিন তুমি তোমার ব্যস্ততা নিয়েই থাকো! ব্যস্ততাই তোমার জীবন বাবা?"
গাইবান্ধা সদর ট্রাফিক পুলিশের এ.টি.এস.আই. জসিম দৈনিক জনকণ্ঠকে বলেন, - ব্যস্তায় এখন তার মূল পেশা। পরিবারের কথা না, রাষ্ট্রের কথা চিন্তা করে রোদ-বৃষ্টি-ঝড় উপেক্ষা করে কাজ করে যাচ্ছি যাবো।
তিনি আরো বলেন, "ঘরে দুই মেয়ে আছে, অনেকসময় দায়িত্বপালনকালে তাদের ফোন আসলেও ধরতে পারি না। ডিউটি শেষে যখন আমি ফোন করি,তখন মেয়েরা বলে, ও বাবা, ফোন করলে তুমি ফোন ধরো না কেনো? তাদের কথার উত্তরে বলি, মা খুব ব্যস্ত ছিলাম এই কারণে ধরতে পারি নাই। এই কথার পর মেয়েরা বলে ওঠে, ব্যস্ত থাকাই কি তোমার জীবন বাবা?
গাইবান্ধা শহরের যে কোথাও তিনি দায়িত্ব পালন করার সময় দেখা যায় সেখানে নেই কোনো যানজট। এমন একজন দায়িত্বশীল ট্রাফিক পুলিশের নিবেদিত নাম জসিম উদ্দীন। নিজের জীবন নিরাপদ থাকুক বা না থাকুক জনগণের নিরাপদ চলাচলের ব্যবস্থা করাই হচ্ছে তার প্রধান কাজ।
Mily