ছবি: সংগৃহীত
জাতীয় ঐক্যমত গঠনের লক্ষ্যে চলমান সংলাপ নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেছেন গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর। তিনি বলেছেন, “এইভাবে চলতে থাকলে কেয়ামত পর্যন্তও ঐক্যমতের কোনও বাস্তব সম্ভাবনা নেই।”
রোববার (২২ জুন) এক আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি বলেন, “গত ১০ বছরে অধিকাংশ রাজনৈতিক দল একমত হলেও, সবাই মিলে ঐকমত্যে পৌঁছাতে পারেনি। দুই মেয়াদের বেশি কেউ প্রধানমন্ত্রী থাকতে পারবে না—এ বিষয়ে বহু দল একমত হলেও ব্যতিক্রমী অবস্থানে থাকা কয়েকটি দলের কারণে অগ্রগতি হচ্ছে না।”
নুর বলেন, “অনেকে বলছেন মেয়াদ নয়, বরং নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী থাকতে পারবে কি না, সেটি বিবেচনায় আনা হোক। এখানেও আমরা দেখছি, অধিকাংশ দল ১০ বছরের সীমায় একমত, কিন্তু আবারও সমন্বিত সিদ্ধান্ত আসছে না।”
তিনি আরও জানান, এনসিসি (জাতীয় সাংবিধানিক পরিষদ), দ্বিকক্ষবিশিষ্ট পার্লামেন্ট গঠন, উচ্চকক্ষের গঠনপদ্ধতি, রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের প্রক্রিয়া—এসব বিষয়ে সংলাপে প্রস্তাব উঠলেও সিদ্ধান্তে পৌঁছানো সম্ভব হয়নি।
নুরুল হক নুর ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “আলোচনায় একাধিক দল তাদের দলের অবস্থান থেকে সরছে বৃহত্তর স্বার্থে। আমরাও আমাদের পুরনো অবস্থান থেকে সরে এসেছি। এমনকি প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদ সংক্রান্ত প্রশ্নেও আমরা নমনীয় হয়েছি। কিন্তু কিছু দল এখনও রিজিড (জড়বদ্ধ) অবস্থানে আছে, তারা পার্টির ক্লিয়ারেন্স ছাড়া কোনো সিদ্ধান্তে আসতে পারছে না। তাহলে তো এটা চলতেই থাকবে।”
তিনি বলেন, “শতভাগ ঐক্যের কোনও বাস্তবতা নেই। এক্ষেত্রে ‘ঐক্যমত কমিশন’কে রেফারির ভূমিকা পালন করে নির্দিষ্ট একটি সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে হবে।”
গণভোট প্রসঙ্গে নুর বলেন, “আমরা শুধু একটি বিষয়ের উপর নয়, বরং জাতীয় সনদ, জুলাই সনদ ও অন্যান্য সংস্কার প্রস্তাবসমূহকে একটি গণভিত্তি দিতে গণভোটের মাধ্যমে তা অনুমোদনের প্রস্তাব দিয়েছি।”
শেষে তিনি মন্তব্য করেন, “আলোচনার মাধ্যমে একটি জায়গায় পৌঁছানো গেলে ভালো। সময় নিন, আলোচনা করুন। তবে দিন শেষে ঐক্যমত কমিশনকেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে।”
আসিফ
