
ছবি: সংগৃহীত।
মায়ের গর্ভে নবজাতকের পূর্ণ সময় না হওয়া জন্ম-পরবর্তী জটিলতার ঝুঁকি বাড়িয়ে দিতে পারে বলে জানিয়েছেন শিশু বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. আবিদ হোসেন মোল্লা। তিনি বারডেম জেনারেল হাসপাতাল ও ইব্রাহিম মেডিকেল কলেজের শিশু রোগ বিভাগের অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত।
তিনি জানান, একজন ভ্রূণ গঠিত হওয়ার পর গড়পড়তা ৪০ সপ্তাহ গর্ভে অবস্থান করলে তাকে "ফুল টার্ম" বা পূর্ণমেয়াদী গর্ভকাল বলা হয়। এই সময়কেই শিশুর পূর্ণ পরিপক্বতার জন্য সবচেয়ে নিরাপদ ধরা হয়।
অধ্যাপক মোল্লা বলেন, “যদি কোনও শিশু ৩৭ সপ্তাহের আগেই জন্ম নেয়, তখন তাকে বলা হয় প্রি-টার্ম বা অপরিণত। এ ধরনের শিশুদের জন্মের পর বিভিন্ন শারীরিক জটিলতা দেখা দেয় এবং সেই জটিলতার মাত্রা নির্ভর করে শিশুটি কত আগে জন্ম নিয়েছে তার উপর।”
তিনি আরও বলেন, “যেসব শিশু নির্দিষ্ট সময় অনুযায়ী ৩৭–৪০ সপ্তাহ মায়ের গর্ভে থাকে, তাদের ম্যাচিউর বা পূর্ণ পরিপক্ব ধরা হয় এবং তাদের জন্মের পর জটিলতার সম্ভাবনা তুলনামূলকভাবে অনেক কম। তবে জটিলতা একেবারেই হবে না, এমন নয়।”
অপরদিকে, ৪০ সপ্তাহ পেরিয়ে যারা জন্ম নেয়, তাদের 'পোস্ট টার্ম' বলা হয়। এই ধরনের শিশুর ক্ষেত্রেও কিছু জটিলতা দেখা দিতে পারে বলে জানান এই বিশেষজ্ঞ।
তিনি জোর দিয়ে বলেন, “একজন নবজাতকের সুস্থ বিকাশ নিশ্চিত করতে গর্ভকাল পূর্ণ হওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। গর্ভবতী মায়েদের উচিত সময়মতো চিকিৎসা নেওয়া এবং প্রসবকালীন সঠিক তত্ত্বাবধানে থাকা, যাতে শিশু পূর্ণ মেয়াদে জন্ম নিতে পারে।”
গর্ভাবস্থার সময়কাল নিয়ে এমন সচেতনতামূলক পরামর্শ প্রসবপূর্ব স্বাস্থ্যসেবায় আরও গুরুত্ব বাড়াতে পারে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকরা।
মিরাজ খান