
ছবিঃ সংগৃহীত
আমরা সবসময় কোলেস্টেরলকে দায়ী করি হৃদরোগের জন্য। কিন্তু নতুন গবেষণা বলছে, কেবল কোলেস্টেরল নয়—নীরব ঘাতকের মতো আমাদের প্রতিদিনের কিছু সাধারণ অভ্যাসই হার্ট অ্যাটাকের পেছনে বড় ভূমিকা রাখে। মাত্র ৫ মিনিটের কিছু স্বাস্থ্যকর অভ্যাসই হতে পারে জীবন বদলে দেওয়ার পথ।
🟠 ১. খাওয়ার পর ১০ মিনিট হাঁটুন
খাওয়ার পরে ১০ মিনিট হেঁটে নেওয়া শুধু হজমই ভালো করে না, এটি শরীরের ইনফ্লামেশন কমায় এবং রক্তে চিনির মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে। সকালে নাস্তা, দুপুরে বা রাতে খাবার—যেকোনো সময়ের খাওয়ার পরে এই ছোট্ট হাঁটা অভ্যাস হৃদরোগ প্রতিরোধে শক্তিশালী ঢাল হিসেবে কাজ করে। একইসাথে ওজন নিয়ন্ত্রণেও সহায়তা করে।
🟠 ২. ঘুম ঠিক করুন, হার্ট বাঁচান
আপনি কি জানেন, কম ঘুম হৃদরোগের ঝুঁকি ২০০% পর্যন্ত বাড়িয়ে দিতে পারে? ঘুম শুধু বিশ্রাম নয়, এটি শরীরের পূর্ণাঙ্গ মেরামতের সময়। কম ঘুম মানে রক্তচাপ বেড়ে যাওয়া, মানসিক চাপের মাত্রা বৃদ্ধি এবং ইনফ্লামেশন বাড়া—সব মিলিয়ে হৃদপিণ্ডের ওপর বিরূপ প্রভাব পড়ে। প্রতিদিন ৭-৮ ঘণ্টা মানসম্পন্ন ঘুম আবশ্যক। সকালবেলা রোদে হাঁটলে দেহঘড়ি (biological clock) ঠিক থাকে। ঘুমই হতে পারে সবচেয়ে অবহেলিত কিন্তু কার্যকর 'হার্ট মেডিসিন'।
🟠 ৩. প্লাস্টিক দূরে রাখুন
প্লাস্টিকের পাত্রে খাবার গরম বা সংরক্ষণ করা বিপজ্জনক। কারণ, প্লাস্টিক থেকে নিঃসৃত ক্ষতিকর রাসায়নিকগুলো শরীরের হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট করে এবং ইনফ্লামেশন বাড়িয়ে দেয়, যা হৃদরোগের দুটি বড় কারণ। প্লাস্টিকের বদলে গ্লাস ও স্টেইনলেস স্টিল ব্যবহার করুন এবং পানির জন্য ফিল্টার ব্যবহার করুন।
🟠 ৪. ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখুন
অতিরিক্ত ওজন হৃদযন্ত্রের ওপর বাড়তি চাপ ফেলে। তাই কোমরের মাপ ও ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা জরুরি। অল্প পরিমাণ ওজন কমালেও তা হার্টের স্বাস্থ্যের ওপর বড় প্রভাব ফেলে। সুস্থ হৃদয়ের জন্য সুস্থ শরীর অপরিহার্য।
স্থায়ী পরিবর্তন আসে ছোট অভ্যাসে
হার্ট অ্যাটাক বা হৃদরোগ একদিনে হয় না। প্রতিদিনের খাওয়া, চলাফেরা আর বিশ্রামের ধরণ মিলে এটি ধীরে ধীরে গড়ে ওঠে। ঠিক তেমনিভাবে প্রতিরোধও সম্ভব ছোট ছোট অভ্যাস দিয়ে। নিয়মিত হাঁটা, বিশ্রাম নেওয়া, শরীরের জন্য ক্ষতিকর বিষাক্ত উপাদান থেকে দূরে থাকা—এসবই ধীরে ধীরে গড়ে তোলে শক্ত ভিত। একদিনে সব বদলানো যায় না, কিন্তু প্রতিদিন একটু একটু করে বদল আনলেই হয়।
বি.দ্র.: এই প্রতিবেদনটি ইন্টারনেটভিত্তিক গবেষণার ওপর নির্ভরশীল। এটি চিকিৎসকের পরামর্শের বিকল্প হিসেবে বিবেচিত হবে না। প্রয়োজনে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ গ্রহণ করুন।
ইমরান