
সংগৃহীত
বিভিন্ন স্বাস্থ্য জটিলতার মধ্যে ফ্যাটি লিভার বর্তমানে একটি নীরব ঘাতক হয়ে উঠছে। শহুরে জীবনযাপন, অনিয়মিত খাদ্যাভ্যাস ও ব্যায়ামের অভাবে তরুণ-প্রবীণ সবার মাঝেই দেখা দিচ্ছে এই সমস্যা।
তবে সুখবর হলো মাত্র ১৪ দিনের একটি সুনির্দিষ্ট স্বাস্থ্য চর্চা মেনে চললে প্রাকৃতিকভাবেই লিভারকে সুস্থ রাখা সম্ভব বলে জানাচ্ছেন ফিটনেস কোচ ও হারবাল থেরাপিস্ট ।
কী এই ফ্যাটি লিভার?
লিভারে অতিরিক্ত চর্বি জমে গেলে তা ধীরে ধীরে লিভারের স্বাভাবিক কার্যক্ষমতা নষ্ট করে। এর ফলে দেখা দিতে পারে হেপাটাইটিস, লিভার সিরোসিস এমনকি ক্যান্সারের ঝুঁকিও।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অনিয়ন্ত্রিত ডায়েট, ওজন বৃদ্ধি, অতিরিক্ত চিনি ও অ্যালকোহল গ্রহণ সবচেয়ে বড় কারণ।
১৪ দিনের কার্যকর ফ্যাটি লিভার রিডাকশন প্ল্যান “প্রতিদিনের রুটিনে ছোট কিছু পরিবর্তন আনলেই মাত্র দুই সপ্তাহে ফল মিলবে”।
প্রথম ১৪ দিনের প্ল্যান:
- সকাল:খালি পেটে ১ গ্লাস কুসুম গরম পানিতে আধা চামচ আদার রস ও ১ চামচ লেবুর রস
- ব্রেকফাস্ট:ওটস, ফলমূল, গ্রিন টি (চিনি ছাড়া)
- লাঞ্চ: ব্রাউন রাইস, সবজি, টক দই
- সন্ধ্যা: বাদাম, আমলকী বা অল্প মধু
- রাত:হালকা খাবার (সুপ, রুটি বা সবজি)
- ব্যায়াম:৩০ মিনিট হাঁটা বা ইয়োগা বিশেষ করে “ক্যাপিলভাতি”,“ভুজঙ্গাসন”
ওজন কমানো ও ক্যান্সার ঝুঁকি হ্রাস
স্বাস্থ্যবিজ্ঞানের মতে, ফ্যাটি লিভার নিয়ন্ত্রণে রাখলে শরীরে ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স কমে, যা টাইপ-২ ডায়াবেটিস এবং কিছু প্রকার লিভার ক্যান্সার প্রতিরোধে সহায়ক।
একই সঙ্গে এই নিয়মিত ডিটক্স অভ্যাস ও ওজন নিয়ন্ত্রণ:
- শরীরে ফ্রি র্যাডিকেল কমায়
- রক্তচাপ ও কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখে
- স্তন ও কোলন ক্যান্সারের ঝুঁকি হ্রাস করে
- মেটাবলিজম বাড়িয়ে চর্বি গলাতে সাহায্য করে
জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. আনোয়ার হোসেন বলেন, “যারা দীর্ঘদিন ফ্যাটি লিভার সমস্যায় ভুগছেন, তাদের জন্য এই প্রাকৃতিক ডিটক্স পদ্ধতি বেশ কার্যকর। তবে যেকোনো পরিবর্তনের আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়াই শ্রেয়।”
এই প্রক্রিয়া শুরু করার আগে যাঁদের উচ্চ রক্তচাপ, গ্যাস্ট্রিক বা কিডনি রোগ আছে, তারা অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। আপনার প্রতিদিনের ডায়েটে পরিবর্তন আনুন, শরীরকে দিন প্রকৃতির যত্নে সুরক্ষা। মনে রাখবেন স্বাস্থ্যই আসল সৌন্দর্য।
হ্যাপী