
ছবি: সংগৃহীত
যুক্তরাষ্ট্র ইরানের তিনটি পরমাণু স্থাপনায় বোমা হামলা চালিয়েছে। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দাবি করেছেন, এই হামলা ইরানের "পরমাণু সমৃদ্ধিকরণ সক্ষমতা ধ্বংস" করেছে। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিষয়টি এতটা সরল নয়।
যুক্তরাষ্ট্রের টার্গেট ছিল ফোর্ডো – ইরানের সবচেয়ে বড় ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধিকরণ কেন্দ্র। যদিও প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এটিকে “চমকপ্রদ সামরিক সাফল্য” বলে আখ্যা দিয়েছেন, ইরানের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে—সাইটে কেবল ‘সারফেস লেভেল’ বা পৃষ্ঠতলে ক্ষতি হয়েছে।
শুরুর দিকে গালফ এবং ইরানের রিপোর্টে জানা গেছে, হামলার ফলে কোনো উল্লেখযোগ্য পারমাণবিক বিকিরণ ঘটেনি। এ থেকে ধারণা করা হচ্ছে—ইরানি কর্তৃপক্ষ আগে থেকেই সাইটগুলো থেকে সমৃদ্ধ ইউরেনিয়ামের মজুত অন্যত্র সরিয়ে ফেলেছিল।
যুক্তরাষ্ট্র হয়তো পরিকাঠামো ধ্বংস করেছে, কিন্তু ইরানের বিজ্ঞানীদের অভিজ্ঞতা এবং প্রযুক্তিগত জ্ঞান অক্ষুণ্ণ রয়েছে। তাই পরমাণু কর্মসূচি পুনর্গঠন অসম্ভব নয়। অনেকেই আশঙ্কা করছেন, ইরানের গোপন কোনও পরমাণু সাইট এখনো সক্রিয় থাকতে পারে।
যদি ট্রাম্পের দাবির মতোই পরমাণু স্থাপনাগুলো পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে থাকে, তাহলে ইরানের কর্মসূচি কয়েক মাস থেকে কয়েক বছর পিছিয়ে যেতে পারে। তবে পুরোপুরি থেমে যাবে—এমন ধারণা ভুল হতে পারে।
মুমু ২