
ছবি: সংগৃহীত
যুক্তরাষ্ট্রের বোমা হামলায় ইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় ক্ষয়ক্ষতির পর এবার পাল্টা প্রতিশোধের হুমকি দিচ্ছে তেহরান। বিশ্লেষকদের আশঙ্কা, মধ্যপ্রাচ্যে অবস্থিত মার্কিন সামরিক ঘাঁটিগুলো এখন তীব্র ঝুঁকির মুখে।
বিপদে রয়েছে এই ঘাঁটিগুলো
ইরাকের আল-আসাদ এবং এরবিল এয়ারবেস, সিরিয়ার আল-তানফ, সংযুক্ত আরব আমিরাতের আল ধাফরা ও কাতারের আল উদেইদ এয়ারবেস—এইসব গুরুত্বপূর্ণ ঘাঁটিতে সতর্কতা জারি করেছে মার্কিন সামরিক বাহিনী। বিশেষ করে আল উদেইদ এয়ারবেস হলো মার্কিন আকাশ অভিযান ও লজিস্টিক সাপোর্টের কেন্দ্রবিন্দু।
ইরানের ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনী (IRGC) এবং দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, যদি যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের হামলাগুলো সমন্বিতভাবে পরিচালিত হয়ে থাকে, তবে এর জবাবে মার্কিন ঘাঁটিগুলোতে হামলা চালানো হতে পারে।
অতীতেও হামলার শিকার হয়েছে ঘাঁটিগুলো
ইরাকের ঘাঁটিগুলো আগে থেকেই ইরানি ব্যালিস্টিক মিসাইল এবং প্রক্সি গোষ্ঠীর রকেট হামলার লক্ষ্যবস্তু ছিল। সিরিয়ার ঘাঁটিও ইরানপন্থী মিলিশিয়াদের আওতায় রয়েছে।
রেড সি এবং পূর্ব ভূমধ্যসাগরে অবস্থানরত মার্কিন নৌবাহিনীর জাহাজগুলোও ইরানি ড্রোন এবং মিসাইলের আওতায় রয়েছে।
বিমান চলাচলেও সতর্কতা
ইরানের আকাশসীমার কাছাকাছি বাণিজ্যিক বিমান চলাচলও ঘুরিয়ে দেওয়া হয়েছে সম্ভাব্য সংঘাত এড়াতে।
কোনো আনুষ্ঠানিক হামলার ঘোষণা দেয়নি ইরান, তবে গোয়েন্দা তথ্য বলছে, ইরান পাল্টা পদক্ষেপ নেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে। এই মুহূর্তে সাইবার হামলা, মিলিশিয়া তৎপরতা বা সরাসরি সামরিক হামলার মতো নানা ঘরানার ঝুঁকি বিবেচনায় নিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র।
মুমু ২