
মাত্র দুই ঘণ্টার ডেটের পর ওলারাটো মোনগালে ছিলেন মৃত। দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানসবার্গের উত্তরে লম্বার্ডি ওয়েস্ট এলাকায় রাস্তার পাশে তাঁর অর্ধনগ্ন মৃতদেহ পাওয়া যায়—মারাত্মক আঘাতের চিহ্ন আর রক্তাক্ত দেহ দেখে স্পষ্ট, তাঁকে অন্য কোথাও হত্যা করে এখানে ফেলে যাওয়া হয়েছে।
ঘটনাটি ঘটেছিল গত ২৫ মে দক্ষিণ আফ্রিকায়। মাত্র ৩০ বছর বয়সী এই নারী ছিলেন উইটস বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতকোত্তর শিক্ষার্থী। একসময় তিনি সাংবাদিকতা করতেন, কিন্তু সাত বছর আগে পেশা ছেড়ে দেন—নারী নির্যাতন আর নারী হত্যার খবর কভার করতে করতে মানসিকভাবে বিধ্বস্ত হয়ে পড়েছিলেন। সেই ভয়ই শেষমেশ তাঁকে ঘিরে ধরে। তিনি হয়েছিলেন সেই আতঙ্কেরই শিকার, যাকে তিনি এড়াতে চেয়েছিলেন।
ওলারাটো মোনগালের মায়ের ভাষায়, “সরকারি মর্গে আমি যখন মেয়ের দেহ দেখলাম, বুঝলাম সে লড়াই করেছিল। তার নখ পর্যন্ত ভেঙে গিয়েছিল।”
এই হত্যাকাণ্ড আবারও চোখে আঙুল দিয়ে দেখায়, দক্ষিণ আফ্রিকায় নারীরা প্রতিদিন অস্তিত্ব সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন।
সানজানা