ছবিঃ সংগৃহীত
খেজুর—শুধু রোজার সময় নয়, সারা বছরই এই ফলটি খেলে উপকার পাওয়া যায়। প্রাকৃতিক পুষ্টিতে ভরপুর খেজুর প্রতিদিন খালি পেটে খেলে শরীরে মেলে নানা রকম উপকারিতা। বিশেষ করে সারা রাত পানিতে ভিজিয়ে সকালে খালি পেটে খাওয়ার অভ্যাস শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী বলে জানিয়েছেন পুষ্টিবিদরা।
ভারতের জনপ্রিয় সংবাদমাধ্যম এবিপি আনন্দের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, খেজুর খালি পেটে খেলে শরীর ও মনের যেসব উপকার হয়:
১. কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে
খেজুরে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার রয়েছে, যা হজমশক্তি বাড়ায় এবং কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধে কার্যকর। এটি মুখের লালার সঙ্গে খাবার ভালোভাবে মেশাতেও সহায়তা করে, ফলে বদহজম দূর হয়।
২. মস্তিষ্ক থাকে সতেজ
খেজুরে থাকা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ও নিউরোপ্রটেকটিভ উপাদান মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বাড়ায়। স্মৃতিশক্তি বাড়ায় এবং অ্যালঝাইমারের ঝুঁকি কমায়।
৩. রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে
পটাসিয়াম সমৃদ্ধ খেজুর উচ্চ রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে। নিয়মিত খেজুর খেলে হার্ট ভালো থাকে, কোলেস্টেরল কমে এবং স্ট্রোকের ঝুঁকি হ্রাস পায়।
৪. হাড় গঠনে সহায়ক
খেজুরে রয়েছে ফসফরাস, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম ও অন্যান্য খনিজ উপাদান, যা হাড়কে মজবুত করে এবং অস্টিওপোরোসিস প্রতিরোধে সহায়ক।
৫. হাঁটুর ব্যথায় আরাম মেলে
খেজুরে থাকা সেলেনিয়াম ও ম্যাঙ্গানিজ হাঁটুর ব্যথা কমাতে সাহায্য করে। এটি শরীরের জয়েন্ট ও হাড়ের সংযোগস্থলে কার্যকরী পুষ্টি সরবরাহ করে।
৬. চোখের যত্নে খেজুর
ভিটামিন ‘এ’, লুটেন ও জেক্সানথিন সমৃদ্ধ খেজুর চোখের কর্নিয়াকে রক্ষা করে এবং চোখের দৃষ্টিশক্তি বাড়ায়। দীর্ঘ সময় মোবাইল বা কম্পিউটারের স্ক্রিনে তাকিয়ে থাকা মানুষের জন্য এটি উপকারী।
৭. পুষ্টির ঘাটতি পূরণ করে
প্রাকৃতিক চিনি, ভিটামিন, প্রোটিন ও মিনারেলে ভরপুর খেজুর শরীরে শক্তি যোগায়। এটি দেহের সামগ্রিক পুষ্টির ঘাটতি পূরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
৮. গর্ভবতী নারীদের জন্য উপকারী
গর্ভাবস্থায় খেজুর খেলে মায়ের শরীরে আয়রনের ঘাটতি পূরণ হয় এবং শিশু জন্মের ঝুঁকি হ্রাস পায়। এটি মা ও শিশুর স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপযোগী।
৯. ব্রণের সমস্যা কমায়
খেজুরে রয়েছে ভিটামিন বি৫ ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা ত্বকের জীবাণু সংক্রমণ রোধ করে এবং ব্রণের প্রবণতা কমায়।
১০. ত্বক রাখে উজ্জ্বল ও টানটান
প্রাকৃতিকভাবে ত্বক সুন্দর ও উজ্জ্বল রাখতে খেজুর খুবই কার্যকর। নিয়মিত খাওয়ার ফলে ত্বক ভেতর থেকে সতেজ এবং প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে।
শেষ কথা
সকালে মাত্র কয়েকটি খেজুর খেয়ে দিন শুরু করলেই শরীরে পাবে প্রয়োজনীয় শক্তি ও পুষ্টি। তবে ডায়াবেটিক রোগীদের খেজুর খাওয়ার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
আলীম
