
ছবি: সংগৃহীত।
১৩ জুন ইরানের রাজধানী তেহরানে ইসরাইল এক ভয়াবহ বিমান হামলা চালিয়েছে। ইরানের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, কোনো ধরনের উসকানি ছাড়াই এ হামলা হয়েছে এবং পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির কোনো প্রমাণ ছাড়াই ইসরাইল আগ্রাসন চালিয়েছে।
বিশ্লেষকদের মতে, এই হামলা এমন এক সময়ে সংঘটিত হয়েছে যখন ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে পারমাণবিক চুক্তি নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হবার কথা ছিল। ইরান দাবি করেছে, এই আলোচনার পটভূমিতেই ইসরাইলের হামলা ঘটেছে, যা যুক্তরাষ্ট্রের পূর্বপরিকল্পিত ষড়যন্ত্রের অংশ।
ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাইয়েদ আব্বাস আঘারচি এনবিসি নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, “এই হামলা ছিল যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্বাসঘাতকতার ফল। আমেরিকা যদি সত্যিই শান্তিপূর্ণ চুক্তি চাইত, তাহলে তারা ইসরাইলকে এই হামলার অনুমতি দিত না।”
তিনি আরও বলেন, “ডোনাল্ড ট্রাম্পের আলোচনার প্রস্তাব আসলে ছিল একটি চাতুরী—ইসরাইলকে হামলার সময় ও সুযোগ করে দেওয়ার জন্য। এখন আমরা আর যুক্তরাষ্ট্রকে বিশ্বাস করতে পারছি না।”
এর আগে যুক্তরাষ্ট্র ইরানকে ৬০ দিনের সময়সীমা দিয়েছিল পারমাণবিক চুক্তির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে। কিন্তু ইরান সেই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে। হামলার ঠিক ৬১ দিন পর ইসরাইল এই হামলা চালিয়েছে বলে দাবি করেছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প।
এই হামলার পর ২০ জুন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী তুরস্ক পৌঁছান এবং ইসলামিক সহযোগিতা সংস্থা (ওআইসি)-এর ২১ জুন অনুষ্ঠিতব্য ৫৭ জাতির বিশেষ বৈঠকে অংশ নেওয়ার ঘোষণা দেন। আঘারচি জানিয়েছেন, তিনি তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ানসহ দেশটির শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন এবং মুসলিম বিশ্বের পক্ষ থেকে একটি যৌথ প্রতিবাদ গঠনের চেষ্টা করবেন।
ইস্তাম্বুলে ইরানি সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া এক বক্তব্যে আঘারচি বলেন, “আমার লক্ষ্য নিরপরাধ এবং ন্যায়সঙ্গত ইরানী জনগণের কণ্ঠস্বর বিশ্ববাসীর সামনে তুলে ধরা। ইসরাইল ও যুক্তরাষ্ট্রের চক্রান্ত আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে উন্মোচিত করতে হবে।”
নুসরাত