
ধামরাই, ঢাকা : ময়লার গন্ধে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে পথচারী-চালক-যাত্রীসহ স্থানীয় বাসিন্দাদের
ঢাকার ধামরাইয়ে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের পাশে প্রতিদিনই ফেলা হচ্ছে পৌরসভার বর্জ্য। ময়লার উৎকট গন্ধে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে মহাসড়ক দিয়ে চলাচলকারী পথচারী-চালক-যাত্রীসহ স্থানীয় বাসিন্দাদের।
ময়লার ভাগাড়ের পাশে রয়েছে বতসবাড়ি ও একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও মসজিদ। ময়লার গন্ধ ও মশা-মাছি ঢুকে পড়ছে বতসবাড়ির ভেতরে। ফলে চরম স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে রয়েছে স্থানীয় বাসিন্দরা। ধামরাই পৌরসভার বাসা-বাড়ির বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য নিজস্ব কোনো জায়গা না থাকায় ময়লা-আবর্জনা এনে ফেলা হচ্ছে কুল্লা ইউনিয়নের কসমচ ঢাকা-অরিচা নামক স্থানে মহাসড়কের পাশেই। ফলে দুর্গন্ধে যানবাহনের চালক, যাত্রীসহ পথচারীরা রয়েছেন চরম দুর্ভোগে।
যানবাহন চালকরা বলেন, ময়লার স্থানে আসলেই পরিবহনের যাত্রীরা নাক-মুখ চেপে রাখেন। অনেক সময় আমরা চালকরাও চেপে রাখি। ময়লার ভাগাড়ের পাশ দিয়ে যেতেই দুর্গন্ধে বাস ভরে ওঠে। ময়লার স্তূপ পেরিয়ে গেলেও দুর্গন্ধ আটকে থাকে বাসের মধ্যে। দীর্ঘদিন ধরেই গন্ধের এই দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে আমাদের।
এক অটোচালক বলেন, এখানে প্রচুর গন্ধ, মাঝে মধ্যে গন্ধের কারণে স্টিয়ারিং ধরব নাকি নাক ধরব! অনেক কষ্ট লাগে।
স্থানীয়রা বলেন, দুর্গন্ধের কারণে এখানে থাকাই দায়। নাক-মুখ চেপে চলাচল করতে হয়। দুর্গন্ধ হওয়ায় অসহ্য যন্ত্রণা ভোগ করছি। স্কুলে বাচ্ছারা পড়তে পারে না, মসজিদে নামাজ পড়তে অসুবিধা হয়। পৌরসভার কাছে আমাদের দাবি, ময়লার ভাগাড়টি এখান থেকে যেন অন্যস্থানে সরিয়ে নেয়। বিভিন্ন সময় স্থানীয়রা ময়লা ফেলা বন্ধে মানবন্ধন, গণস্বাক্ষর করেছে, তবুও এখনো মেলেনি কোনো সমাধান।
গ্রামবাসীর পক্ষে ইউএনওর কাছে অভিযোগকারী আনোয়ার হোসেন সুজন বলেন, পৌরসভার ময়লা এখানে ফেলার কারণে প্রচুর দুর্গন্ধ হয়, আশপাশের বাড়ির মানুষ বাড়িতে থাকতে অসুবিধা হয়, মশা-মাছি বাড়ি খাবারে ঢুকে যায়। কাছেই রয়েছে একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও একটি মসজিদ। ময়লার গন্ধে স্কুলে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা করতে সমস্যা হয়। অনেক সময় গন্ধের কারণে মসজিদে নামাজ পড়তেও সমস্যা হয়। আমারা ইউএনওর কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছি, দ্রুত সমাধান করা হবে বলে ইউএনও আমাদের আশ্বাস দিয়েছেন।
এ বিষয়ে ধামরাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মামনুন আহমেদ অনীক জানিয়েছেন, লিখিত অভিযোগ পেয়েছেন, ময়লার ভাগাড়টি অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার আশ্বাসও দিয়েছেন।
প্যানেল