ঢাকা, বাংলাদেশ   সোমবার ২৩ জুন ২০২৫, ১০ আষাঢ় ১৪৩২

একসাথে পাহাড় ও সমুদ্র দেখতে চাইলে ঘুরে আসুন পাটুয়ারটেক সমুদ্র সৈকত 

ইমতিয়াজ মাহমুদ ইমন, কন্ট্রিবিউটিং রিপোর্টার, কক্সবাজার

প্রকাশিত: ২১:৪১, ২২ জুন ২০২৫

একসাথে পাহাড় ও সমুদ্র দেখতে চাইলে ঘুরে আসুন পাটুয়ারটেক সমুদ্র সৈকত 

দেশের ভ্রমণপিপাসু অনেকের প্রথম পছন্দের জায়গা হলো কক্সবাজার সমুদ্রসৈকত। দেশের দীর্ঘতম সমুদ্রসৈকতের সৌন্দর্যের টানে প্রতিবছর লাখো পর্যটক ঘুরতে যান পর্যটননগরী কক্সবাজারে। সাধারণত শীতের মৌসুমে পর্যটকদের সমাগম বেশি হয়। 

কক্সবাজারে পর্যটকেরা সাধারণত কলাতলী, সুগন্ধা, লাবণী, হিমছড়ি অথবা মেরিন ড্রাইভ ভ্রমণের মধ্যে নিজেদের সীমাবদ্ধ রাখেন। তবে এবার আপনাদের ভ্রমণতালিকায় যুক্ত করতে পারেন পাটুয়ারটেক সমুদ্রসৈকত। কয়েক বছর ধরে পাটুয়ারটেক সমুদ্রসৈকত নিয়ে মানুষের আগ্রহ বেড়েই চলেছে।


মেরিন ড্রাইভ রোড,  ডান পাশে নীল সমুদ্র আর বাঁ পাশে পাহাড়ের সারি। সব মিলিয়ে অপরূপ সৌন্দর্যের মেরিন ড্রাইভের এই ভ্রমণপথ মনকে ভালো করে দিতে বাধ্য। মেরিন ড্রাইভ ধরে এগোতে এগোতে বেশ কয়েকটি প্যারাসেইলিং পয়েন্ট চোখে পড়বে। সেখানে অনেককেই প্যারাস্যুটে চড়ে নীল সমুদ্রের ওপরে ভেসে বেড়াতে পারবেন। হিমছড়ি, লাল কাকড়ার সৈকত, রিজু খাল পার হয়ে একটু সামনে  এগিয়ে  ইনানী সৈকত অতিক্রম করে প্রায় দেড় ঘণ্টার মধ্যে পৌঁছে যেতে পারবেন পাটুয়ারটেক।

সৈকতজুড়ে প্রবালপাথরের সারি এই সৈকতের সৌন্দর্যকে আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। একের পর এক সমুদ্রের ঢেউ আছড়ে পড়ছে সেই পাথরের ওপর। সত্যি এক অসাধারণ অনুভূতি, যা বলে বোঝানো সম্ভব নয়। নিচে ডুবন্ত পাথরের দিকে তাকালে সমুদ্রের স্বচ্ছ পানি, বিস্তৃত নীল সমুদ্র আর সঙ্গে শোঁ শোঁ শব্দে বাতাস মন-প্রাণ জুড়িয়ে আলাদা একটা প্রশান্তি এনে দেবে। তবে পাটুয়ারটেকের সবচেয়ে আলাদা সৌন্দর্য ও আইকনিক বিষয় হলো একই স্থানে বসে সাগরের নীল জল, পাথর ও পাহাড়ের সৌন্দর্য উপভোগ করা।

দূর সাগরে ঢেউয়ের তালে তালে দুলতে থাকা মাছ ধরা নৌকাগুলোর দৃশ্য আপনার ভালো লাগাকে কয়েক গুণ বাড়িয়ে দেবে। সত্যি, পাটুয়ারটেকের অপরূপ সৌন্দর্য আপনার মনকে ভালো করে দিয়ে অন্য রকম একটা ভালো লাগার অনুভূতি দেবে—এ নিশ্চয়তা নিশ্চিতভাবে দেওয়া যায়।

পাটুয়ারটেক সমুদ্র সৈকত কিভাবে যাবেন?

পাটুয়ারটেক সমুদ্র সৈকত দেখতে হলে প্রথমেই আপনাকে কক্সবাজার শহরে আসতে হবে। ঢাকা থেকে কক্সবাজার আসার জন্য বাস, ট্রেন এবং প্লেন ব্যবহারের সুযোগ রয়েছে। প্রতিদিন বিভিন্ন পরিবহন কোম্পানির বাস ঢাকা-কক্সবাজার রুটে চলাচল করে। বাসে কক্সবাজার আসতে সাধারণত ৮ থেকে ১০ ঘণ্টা সময় লাগে। আপনি সরাসরি কাউন্টারে গিয়ে অথবা অনলাইনে টিকেট কাটতে পারেন।

ঢাকা-কক্সবাজার রুটে বর্তমানে প্রতিদিন দুটি ট্রেন চলাচল করছে। পর্যটক এক্সপ্রেস সকাল ৬:১৫ মিনিটে এবং কক্সবাজার এক্সপ্রেস রাত ১০:৩০ মিনিটে কমলাপুর থেকে যাত্রা শুরু করে। এই ট্রেনগুলোর কক্সবাজার পৌঁছাতে প্রায় ৯ ঘণ্টা সময় নিবে। এছাড়া ইচ্ছে করলে প্লেনে প্রায় ৫০ মিনিটে কক্সবাজার চলে আসতে পারেন।

কক্সবাজারের ডলফিন মোর থেকে অটো, সিএনজি বা চান্দের গাড়ি ভাড়া করে মেরিন ড্রাইভ রোড ব্যবহার করে চলে আসবেন পাটুয়ারটেক। চান্দের গাড়ি ভাড়া প্রায় ৪৫০০ টাকা। হাতে সময় থাকলে সিএনজি বা অটো ব্যবহার করতে পারেন। সেক্ষেত্রে খরচ আরো কম হবে। সিএনজি ভাড়া ১০০০/১৫০০ টাকা। অটো ভাড়া ১০০০/১২০০ টাকা।

Jahan

×