
করোনার সংক্রমণ এড়াতে যাত্রীদের মাস্ক পরার নির্দেশনা দিয়েছিল ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল)। তবে মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষের এই অনুরোধ মানছেন না বেশিরভাগ যাত্রী।
গত ৯ জুন এক বিজ্ঞপ্তিতে ডিএমটিসিএল জানায়—‘করোনার সংক্রমণ এড়াতে মেট্রোরেলে ভ্রমণকারী সম্মানিত যাত্রীসাধারণকে মাস্ক পরিধান করার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করা হচ্ছে।’
এই নির্দেশনার দুই দিন পার হলেও মেট্রোরেলের যাত্রীদের মাস্ক পরার আগ্রহ দেখা যাচ্ছে না।
বুধবার (১১ জুন) রাতে মেট্রোরেলের কয়েকটি স্টেশন ঘুরে দেখা গেছে, যাত্রীরা যেমন মাস্ক পরছেন না, তেমনই স্টেশনের সংশ্লিষ্ট কাউকেই যাত্রীদের মাস্ক পরার জন্য সতর্ক করতেও দেখা যায়নি। এমনকি মাইকে ঘোষণা দেওয়ার সুযোগ থাকলেও তা করা হচ্ছে না। স্টেশনের কোথাও মাস্ক পরার বিষয়ে কোনও বিজ্ঞপ্তি চোখে পড়েনি।
উত্তরা উত্তর মেট্রোরেল স্টেশনে মাস্ক ছাড়াই আসা যাত্রী আলি হোসেন বলেন, করোনা বাড়ায় মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ মাস্ক পরার কথা বলেছে, এটা জানি। কিন্তু আজকে মাস্ক আনা হয়নি।’
মাস্ক ছাড়াই পরিবার নিয়ে টিকিট কাটতে লাইনে দাঁড়িয়েছিলেন মো. তানভীর। মাস্ক পরার নির্দেশনার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষের এমন কোনও নির্দেশনা আছে বলে জানতাম না। আজই জানলাম। এখন থেকে মাস্ক পরে উঠবো।’
তবে কিছু যাত্রীকে মাস্ক পরার নিয়ম মানতে দেখা গেছে। তাদের একজন অ্যাডভোকেট মো. কাসেম বলেন, আমি শুনেছি মেট্রোরেলে মাস্ক পরার নিয়ম করা হয়েছে। দেশে করোনার সংক্রমণ বেড়ে যাচ্ছে। তাই নিজে থেকেই সতর্ক হয়ে মাস্ক পরে এসেছি। আমার বাচ্চাদেরও মাস্ক পরিয়ে এনেছি।’
জনসাধারণের জন্য করণীয়
১. জনসমাগম এড়িয়ে চলা এবং বাধ্যতামূলক মাস্ক ব্যবহার।
২. শ্বাসতন্ত্রের সংক্রমণ প্রতিরোধে নিয়মিত মাস্ক পরা।
৩. হাঁচি-কাশির সময় মুখ ঢেকে রাখা।
৪. ব্যবহৃত টিস্যু নিরাপদভাবে ফেলা।
৫. নিয়মিত ২০ সেকেন্ড ধরে সাবান-পানি বা স্যানিটাইজারে হাত ধোয়া।
৬. অপরিষ্কার হাতে চোখ-নাক-মুখ স্পর্শ না করা।
৭. আক্রান্তদের থেকে কমপক্ষে ৩ ফুট দূরত্ব বজায় রাখা।
Jahan