
মাত্র ৯ ঘণ্টার ব্যবধানে শুরু হতো তার স্বপ্নের নতুন জীবন। লন্ডনের পথে ছিল যাত্রা। কিন্তু স্বপ্ন আর বাস্তবের মাঝে মাত্র ৫৯ সেকেন্ড সময়ই সব কিছু বদলে দিল। রাজস্থানের উদয়পুরের মেধাবী কন্যা পায়াল খাটিক আহমেদাবাদ থেকে লন্ডনের গ্যাটউইকগামী এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানে ছিলেন—যেটি উড্ডয়নের এক মিনিটেরও কম সময়ের মধ্যে ভেঙে পড়ে আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
গুজরাটের হিম্মতনগরে বাবা-মায়ের সঙ্গে থাকতেন পায়াল। লন্ডনে উচ্চশিক্ষা নিতে যাচ্ছিলেন। স্বপ্ন ছিল, লেখাপড়া শেষ করে দেশের মুখ উজ্জ্বল করবেন। প্রতিবেশীরা জানালেন, ছোটবেলা থেকেই ছিলেন স্কুল টপার, অসম্ভব মেধাবী ও স্বপ্নবাজ। কিন্তু সেই স্বপ্ন আর ফুরোলো না—বৃহস্পতিবার দুপুর ১টা ৩৮ মিনিটে বোয়িং ৭৮৭-৮ বিমানটি আহমেদাবাদ বিমানবন্দর থেকে উড়ার ৫৯ সেকেন্ড পরই মেঘানিনগরের একটি ডাক্তারের হোস্টেলের ওপর ভেঙে পড়ে।
২৪২ জন আরোহী নিয়ে উড়েছিল বিমানটি। এখন পর্যন্ত জানা গেছে, কেবল একজনই বেঁচে আছেন। বাকিরা পায়ালসহ প্রাণ হারিয়েছেন বলেই ধারণা করছে প্রশাসন।
দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ সাংবাদিকদের বলেন, "বিমানটিতে ছিল ১.২৫ লাখ লিটার জ্বালানি। তাপমাত্রা ছিল ভয়াবহ। এই আগুনে কাউকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি।"
দগ্ধ মরদেহগুলোর পরিচয় নিশ্চিত করতে ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করছে প্রশাসন। শাহ বলেন, "ডিএনএ পরীক্ষার পরই নিশ্চিতভাবে জানানো যাবে কতজন মারা গেছেন। বিদেশি যাত্রীদের পরিবারকেও জানানো হয়েছে, তাদের নমুনাও সংগ্রহ করা হবে।"
এদিকে পায়ালের পরিবার ভেঙে পড়েছে শোকে। আত্মীয়স্বজন ও এলাকাবাসী জানালেন, "ওর চোখে ছিল লন্ডনের স্বপ্ন, বিদেশে গিয়ে পড়ালেখা করবে বলে সবার দোয়া চেয়েছিল। ভাবিনি এই স্বপ্ন ওভাবে আগুনে ঝলসে যাবে।"
মিমিয়া