
ভারতের আহমেদাবাদে ঘটে যাওয়া ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন ব্রিটেনের গ্লুচেস্টার শহরের বাসিন্দা আকিল নানাবাওয়া, হান্না ভোরাজি ও তাদের চার বছর বয়সী একমাত্র কন্যা সারা। পুরো পরিবারের এমন মর্মান্তিক মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে স্থানীয়দের মাঝে।
সারার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবদুল্লাহ সামাদ মেয়েটিকে স্মরণ করে বলেন, “সে ছিল এক টুকরো রোদের মতো। ক্লাসরুমে আলো ছড়িয়ে দিতো। ওর অভাব কখনো পূরণ হবে না।”
সামাদ আরও জানান, আকিল ও হান্না শুধু পরিচিত ছিলেন না, তাঁরা ছিলেন সমাজসেবায় নিবেদিত প্রাণ। গাজা অঞ্চলের মানবিক সহায়তা এবং ভারতের দরিদ্র রোগীদের চিকিৎসার জন্য অর্থ সংগ্রহে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছিলেন এই দম্পতি।
“তাঁরা বহু মানুষের হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছিলেন। তাঁদের মৃত্যুতে শুধু পরিবার নয়, গোটা কমিউনিটিই শোকাহত,” বলেন আবদুল্লাহ সামাদ।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার (১২ জুন) ২৪২ আরোহী নিয়ে এয়ার ইন্ডিয়ার একটি বিমান আহমেদাবাদে বিধ্বস্ত হয়। এতে ২৪১ জনই প্রাণ হারিয়েছেন বলে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো নিশ্চিত করেছে।
মিমিয়া