
ছবি: সংগৃহীত
ইসরায়েলের ওপর নতুন করে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইরান। এর আগে শুক্রবার রাতে ইসরায়েল ইরানের রাজধানী তেহরানসহ দেশজুড়ে প্রায় ১০০টি লক্ষ্যবস্তুতে ব্যাপক বিমান হামলা চালায়। লক্ষ্যবস্তুগুলোর মধ্যে ছিল পরমাণু স্থাপনা ও সামরিক ঘাঁটি। হামলায় ইরানের শীর্ষ দুই সামরিক কমান্ডার ও অন্তত ছয়জন পরমাণু বিজ্ঞানী নিহত হয়েছেন বলে দাবি করা হয়েছে।
এর পাল্টা জবাবে শনিবার সকালে ইরান থেকে প্রায় ১০০টি ড্রোন ইসরায়েলের উদ্দেশে ছোড়া হয়। ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, এসব ড্রোনের বেশিরভাগই ইসরায়েল সীমান্তের বাইরে আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার মাধ্যমে প্রতিহত করা হয়েছে।
এদিকে, ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন, ‘ইসরায়েলকে এর তীব্র ও যন্ত্রণাদায়ক মূল্য দিতে হবে।’
ইসরায়েল সরকার ‘পূর্ব-প্রতিরক্ষামূলক হামলা’র অংশ হিসেবে এই অভিযান পরিচালনার কথা জানিয়ে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে। দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ বলেছেন, ‘ইসরায়েলের এই পদক্ষেপের পর ইরানের পক্ষ থেকে ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা অবশ্যম্ভাবী বলে আমরা বিবেচনা করছি। এর লক্ষ্য হতে পারে আমাদের জনবসতিও।’
ইসরায়েলের একাধিক হামলার জবাবে ইরানও সতর্কতা নিয়েছে। ইরানের বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (সিভিল অ্যাভিয়েশন অর্গানাইজেশন) জানায়, দেশের আকাশসীমা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে একটি ‘নোটিস টু এয়ার মিশন’ (NOTAM) জারি করে রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে ঘোষণা দেওয়া হয়।
বিশ্লেষকরা বলছেন, ইরান-ইসরায়েল সংঘর্ষ এখন এক নতুন ও বিপজ্জনক মোড় নিচ্ছে। দুই দেশের এই পাল্টাপাল্টি হামলা শুধু মধ্যপ্রাচ্যের নিরাপত্তা নয়, বরং গোটা বিশ্ব রাজনীতিতেও বড় ধরনের প্রভাব ফেলতে পারে। পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে রয়েছে জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক শক্তিগুলো।
সূত্র: এনডিটিভি।
রাকিব