
বাবা, একটি ছোট শব্দ। কিন্তু এই শব্দের গভীরতা মাপা যায় না কোনো মাপকাঠিতে। যাঁর ছায়া মাথার ওপর থাকলে ঝড়টাও মনে হয় হাওয়া, আর না থাকলে রোদেও জীবন কেমন থমকে দাঁড়ায়।
আজ বিশ্ব বাবা দিবস। তবে এই দিনটা কেবল একটি দিনের নয় — এটা জীবনের প্রতিটি অধ্যায়ে তাঁর অবদানের অনন্য স্বীকৃতি। শহরের কর্পোরেট অফিস হোক বা গ্রামের ধুলোমাখা মাটির পথ — সবার জীবনেই এক একজন অদৃশ্য নায়ক হয়ে থাকেন আমাদের বাবা।
তাঁদের মুখে কখনো “ভালোবাসি” শব্দটা না থাকলেও, গরম ভাতের সাথে তুলে দেওয়া শেষ মাছের টুকরোতেই লুকিয়ে থাকে হাজার ভালোবাসা।
একজন বাবা যখন ভোর বেলা পাঞ্জাবি পরে কাজে বেরিয়ে যান, তখন হয়তো কেউ জানে না তাঁর মাথার ভেতর ঘুরছে ছেলের স্কুল ফি, মেয়ের নতুন জামা, স্ত্রীর ওষুধ বা সংসারের বাজারের হিসাব। অথচ তিনি সব হিসাবের বাইরে দাঁড়িয়ে হাসেন — যেন তাঁর কোনো চিন্তাই নেই।
এই দিবসটি শুধুই উপহার দেওয়ার নয়, বরং উপলব্ধি করার দিন — আমাদের বাবারা কেমন নীরবে ভালোবাসতে শিখিয়েছেন।
সারা দেশের বিভিন্ন জায়গায় ছোট ছোট আয়োজনে আজও কিছু ছেলে-মেয়ে তাঁদের বাবাকে জড়িয়ে ধরে বলবে, “বাবা, তুমি আমার জীবনের সবচেয়ে বড় আশ্রয়।”
কিন্তু হাজারো সন্তান আজ বাবাকে শুধু মনে মনে বলবে, “তুমি থাকো না, তবু আমার প্রতিটি সাফল্যের পেছনে তুমিই আছো।”
বাবারা ফুল নন, ছায়া হয়ে বেঁচে থাকেন আমাদের পাশে — অবিরাম, নিঃশব্দে।
রাজু