ভারতের আহমেদাবাদে ঘটে যাওয়া প্রাণঘাতী বিমান দুর্ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। নিহতদের পরিবারের প্রতি সহানুভূতি জানিয়ে তিনি আশ্বাস দিয়েছেন, প্রয়োজনে যেকোনো ধরনের সহায়তা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ভারতের পাশে থাকবে।
ট্রাম্প এক বিবৃতিতে বলেন, “বিমান দুর্ঘটনাটি ছিল ভয়াবহ। আমি ইতোমধ্যেই ভারতের কর্মকর্তাদের জানিয়েছি, আমরা যা করতে পারি তা করব। প্রয়োজন হলে আমরা সঙ্গে সঙ্গেই সেখানে পৌঁছে যাব।”
আহমেদাবাদের সরদার বল্লভভাই প্যাটেল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়নের কিছুক্ষণ পরেই বিধ্বস্ত হয় বোয়িং ৭৮৭ ড্রিমলাইনার বিমানটি। ২৪২ জন আরোহী বহনকারী এই বিমানে প্রাণ হারান ২০০–রও বেশি যাত্রী ও ক্রু সদস্য। নিহতদের মধ্যে ছিলেন ১৬৯ জন ভারতীয় নাগরিক, ৫৩ জন ব্রিটিশ, ৭ জন পর্তুগিজ ও একজন কানাডিয়ান নাগরিক।
বিশ্ব নেতাদের শোকবার্তা
দুর্ঘটনার পর বিশ্বজুড়ে নেতারা এই ট্র্যাজেডিকে কেন্দ্র করে শোক প্রকাশ করেছেন। ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ এক বিবৃতিতে জানান, "এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনার খবর আমি গভীর আবেগ নিয়ে গ্রহণ করেছি। ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং নিহতদের পরিবারদের প্রতি আমি আন্তরিক সমবেদনা জানাচ্ছি। এই দুঃসহ সময়ে আমরা তাদের পাশে রয়েছি।”
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ক্রেমলিনের মাধ্যমে প্রেরিত এক বার্তায় বলেন, "এই দুর্ঘটনার ভয়াবহ পরিণতির জন্য আমি গভীর শোক প্রকাশ করছি। যারা আহত হয়েছেন, তাঁদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি।”
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার, যাঁর দেশের ৫৩ নাগরিক এই দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন, একে “বিধ্বংসী” বলে উল্লেখ করেন। এক্স (সাবেক টুইটার)–এ দেওয়া বার্তায় তিনি বলেন, “ঘটনাটির আপডেট আমি ঘন ঘন পাচ্ছি। এই মর্মান্তিক সময়ে নিহতদের পরিবার ও যাত্রীদের প্রতি আমার চিন্তা ও প্রার্থনা রইল।”
কানাডার প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নিও এই দুর্ঘটনায় একজন কানাডীয় নাগরিকের মৃত্যুর ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। এক্স–এ দেওয়া পোস্টে তিনি লেখেন, “লন্ডনগামী এয়ার ইন্ডিয়ার একটি বিমানের আহমেদাবাদে বিধ্বস্ত হওয়ার খবর শুনে আমি বিধ্বস্ত। বিমানে ২৪২ জন যাত্রী ছিলেন, যাঁদের মধ্যে একজন কানাডীয়ও ছিলেন। সকল যাত্রী এবং তাঁদের পরিবারের প্রতি আমার হৃদয়বিদারক সমবেদনা রইল।”
আহমেদাবাদে ঘটে যাওয়া এই বিমান দুর্ঘটনা গোটা বিশ্বকেই নাড়িয়ে দিয়েছে। বহু দেশ তাদের নাগরিক হারিয়েছে এই মর্মান্তিক ঘটনার মাধ্যমে। আন্তর্জাতিক নেতৃবৃন্দের শোকবার্তা ও সহমর্মিতা প্রমাণ করে, এ ধরনের বিপর্যয়ে মানবতা জাতি–সীমা ছাড়িয়ে একত্রিত হয়। এখন ভারতের সামনে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হবে উদ্ধার ও পুনর্বাসন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারদের পাশে দাঁড়ানো।
সূত্র:https://tinyurl.com/5n6zuxhr
আফরোজা
