
ছবি: জনকণ্ঠ
পরিবেশ রক্ষার গুরুত্ব তুলে ধরে নীলফামারীতে ‘তারুণ্যের আলো সেবা সংঘ’-এর একদল তরুণ বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষে গাছের চারা রোপণ ও বিতরণ কর্মসূচি পালন করেছে।
বৃহস্পতিবার (৫ জুন) সকালে জেলা শহরের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্বরে তারা ২০টি গাছের চারা রোপণ করে। পাশাপাশি শহরের বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে রিকশাচালক ও পথচারীদের মাঝে ৫০টি গাছের চারা বিতরণ করে তরুণেরা। এ সময় শহরের চৌরঙ্গী মোড়ে দাঁড়িয়ে তারা পরিবেশ রক্ষার গুরুত্ব তুলে ধরেন এবং সচেতনতামূলক বার্তা প্রচার করেন।
তারা জানান, আমরা আমাদের সাময়িক সুখের জন্য প্রকৃতি ধ্বংস করছি। বন উজাড়, নদী ভরাট, বায়ু-জল-মাটি দূষণের মাধ্যমে পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে। এর ফলে পৃথিবীর তাপমাত্রা বাড়ছে, বরফ গলে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বাড়ছে, এবং পরিবেশ বাসযোগ্যতা হারাচ্ছে।
তরুণদের মতে, যদি এখনই আমরা সচেতন না হই, তবে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য এই পৃথিবী হয়তো আর বাসযোগ্য থাকবে না। এজন্য সবাইকে নিজ নিজ জায়গা থেকে সচেতন হতে হবে।
এই কর্মসূচিতে অংশ নেয়া শিক্ষার্থীরা সকলেই স্কুল ও কলেজে পড়াশোনা করছে। উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক মোঃ রাশেদুজ্জামান জিহাদ, সিনিয়র সদস্য মারজিয়া, ক্যাম্পাস অ্যাম্বাসাডর জাহিন ও অম্লান, সদস্য ফাহিম, সৈয়দ আবির, মিম, জাহান কবীর, নাফিসসহ আরও অনেকে।
তারা জানান, গত এক সপ্তাহে জেলার ৫০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রায় ৫০০টি চারা রোপণ করেছেন তারা। এবারের বিশ্ব পরিবেশ দিবসের প্রতিপাদ্য “ভূমির স্বাস্থ্য ফিরিয়ে আনো”। তরুণরা বলেন, মাটির উর্বরতা রক্ষা, নদীর নাব্যতা বজায় রাখা এবং গাছ লাগানোর কোনো বিকল্প নেই।
পরিবেশ দিবস শুধু একটি দিনের কর্মসূচি নয়, এটি হওয়া উচিত সারাবছরের সচেতনতা। প্লাস্টিকের ব্যবহার কমানো, যেখানে-সেখানে ময়লা না ফেলা এবং বেশি বেশি গাছ লাগানোর অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে সবার মধ্যে।
তরুণদের এই উদ্যোগে এলাকাবাসীও প্রশংসা করেছেন। তাদের মতে, এ ধরনের সচেতনতামূলক কাজ সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন আনবে এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে একটি সবুজ পৃথিবী উপহার দিতে সহায়তা করবে।
এম.কে.