
বাপা ও বেন আয়োজিত বিশেষ সম্মেলন
কুতুবদিয়া দ্বীপে পরিবেশগত ভারসাম্য রক্ষা এবং জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় নতুনভাবে বনায়নের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। এই উদ্যোগের মাধ্যমে দ্বীপটি আরও সবুজায়িত হবে এবং স্থানীয় জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
শুক্রবার শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় অডিটোরিয়ামে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) ও বাংলাদেশ পরিবেশ নেটওয়ার্ক (বেন) আয়োজিত বিশেষ সম্মেলনে পরিবেশ উপদেষ্টা রেজওয়ানা হাসান কুতুবদিয়া দ্বীপে নতুনভাবে বনায়নের পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন। তিনি বলেন, "এ উদ্যোগ বাস্তবায়নে স্থানীয় জনগণ, পরিবেশবিদ এবং সরকারের সমন্বয়ে কাজ করা হবে। এর মাধ্যমে দ্বীপের প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণ ও স্থানীয়দের জন্য নতুন অর্থনৈতিক সুযোগ সৃষ্টি হবে।"
সম্মেলনের নদ-নদী ও পানি ব্যবস্থাপনা অধিবেশনে সাংবাদিক আবুল কাশেম কুতুবদিয়া দ্বীপের রক্ষা নিয়ে নতুনভাবে বনায়ন এবং পিলটকাটা খাল খনন বিষয়ে সরকারের পরিকল্পনা জানতে চাইলে রেজওয়ানা হাসান জানান, স্থানীয়দের সহযোগিতায় এই উদ্যোগ বাস্তবায়ন করা হবে।
এছাড়া, কুতুবদিয়ার পিলটকাটা খাল খননের কাজ অগ্রাধিকার ভিত্তিতে শুরু করা হবে। বাপার কক্সবাজার সাধারণ সম্পাদক কলিম উল্লাহ কলিম জানান, কুতুবদিয়ার মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগপ্রবণ এলাকায় বনায়ন এবং উপকূলীয় সবুজবেষ্টনী গঠন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এর ফলে দীর্ঘমেয়াদে টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত হবে এবং প্রতিবছর বেড়িবাঁধ নির্মাণে অপচয় হওয়া অর্থ কমানো সম্ভব হবে।
কুতুবদিয়া দ্বীপে প্রতিবছর বেড়িবাঁধ ভেঙে অনেক পরিবার বসতবাড়ি হারাচ্ছে। সমুদ্রের লোনা পানির ঢেউ বেড়িবাঁধে আঘাত করে, যার ফলে বেড়িবাঁধ ভেঙে যাচ্ছে। দ্বীপবাসী বেড়িবাঁধ রক্ষায় দ্রুত চতুর্পাশে বনায়ন করার দাবি জানিয়েছেন।
সায়মা ইসলাম