টেলর সুইফট
মার্কিন গায়িকা টেলর সুইফট। খ্যাতি বিশ্বজোড়া। গান আর কনসার্টে মাতিয়ে রাখেন দর্শকদের। সেই টেলর সুইফটকে নিয়ে পড়ানো হয় বিশ্বের ছয়টি বিশ্ববিদ্যালয়ে। এবার টেলর যুগ নড়িয়ে দিয়েছে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়কে। বিশ্বের প্রথমসারির এই বিশ্ববিদ্যালয় ঠিক করেছে যে, তাদের কোর্স হবে টেলর সুইফটকে নিয়ে। আগামী বছর বসন্তকালীন শিক্ষাবর্ষে বিশ্ববিদ্যালয়টি ‘ইংলিশ ১৮৩টিএস টেলর সুইফট অ্যান্ড হার ওয়ার্ল্ড’ শীর্ষক কোর্স চালু করছে। হার্ভার্ডের ইংরেজি বিভাগ এই কোর্সের পরিচালনায়।
এখানে টেলরের সারা বিশ্বজোড়া প্রভাব এবং তার ঝড় তোলা সঙ্গীত নিয়েই পড়াশোনার সুযোগ থাকবে। টেলর সুইফটকে নিয়ে পড়ানো হয় বিশ্বের আরও ছয়টি বিশ্ববিদ্যালয়ে। বেলজিয়ামের ঘেন্ট বিশ্ববিদ্যালয়ে নতুন একটি কোর্স চালু হয়েছে টেলর সুইফটের নামে। এ কোর্সের নাম ‘লিটারেচার- টেলর’স ভার্সন’। স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে টেলর সুইফটকে নিয়ে চালু হয়েছে একটি কোর্স। কোর্সের নাম ‘দ্য লাস্ট গ্রেট আমেরিকান সং রাইটার- স্টোরি টেলিং উইথ টেলর সুইফট থ্রু দ্য এরাস’।
নিউইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয়ে গত বছর থেকে টেলর সুইফটকে নিয়ে একটি কোর্স পড়ানো হয়। অ্যারিজোনা স্টেট ইউনিভার্সিটিতে নতুন একটি কোর্স পড়ানো হচ্ছে শিক্ষার্থীদের। নতুন এই কোর্সের নাম ‘সাইকোলজি অব টেলর সুইফট’।
ইউনিভার্সিটি অব টেক্সাস ২০২২ সালের গ্র্যামি অ্যাওয়ার্ডজয়ী টেলর সুইফটকে নিয়ে একটি কোর্স চালু করে। বোস্টনের বার্কলে কলেজ অব মিউজিক-এর শিক্ষার্থীরা এখন থেকে টেলরের গান নিয়ে পড়াশোনা করবেন। এ কোর্সের মূল ফোকাস হলো টেলর সুইফটের সং রাইটিং। টেলর পাশ্চাত্য সঙ্গীত সাম্রাজ্যের অন্যতম সম্রাজ্ঞী। সুরের সাগরে তার গলা মিঠে হাওয়ার মতোই। এহেন টেলর গত বছর ১৭ মার্চ থেকে শুরু করেছেন ম্যারাথন কনসার্ট ‘দ্য এরাস ট্যুর’। চলবে আগামী বছর ১৭ আগস্ট পর্যন্ত। এক বছরেরও বেশি সময় ধরে চলা ট্যুরে টেলর পাঁচটি মহাদেশ ঘুরে ১৩১টি শো করার পরিকল্পনা করেছেন। ২০১৮ সালে রেপুটেশন স্টেডিয়াম ট্যুরের পর এটাই টেলরের সবচেয়ে ব্যয়বহুল ট্যুর।
টেলর এখনো পর্যন্ত মোট ১০টি অ্যালবাম প্রকাশ করেছেন। মূলত প্রতিটি অ্যালবামের বাছাই করা গানই গাইছেন তিনি।
এদিকে মার্কিনি মিউজিক অ্যান্ড এন্টারটেইনমেন্ট ম্যাগাজিন বিলবোর্ড। তাদের অফিসিয়াল ওয়েবাসাইটে যদি ঢুঁ মারা যায়, তাহলে দেখা যাবে যে, স্পটিফাই বলছে, ২০২৩ সালের ‘মোস্ট স্ট্রিমড’ গায়িকার নাম টেলর সুইফট । স্ট্রিম কাউন্ট ২৬.১ বিলিয়ন! এত বেশি বার বিশ্বের কোনো গায়ক বা গায়িকাকে এর আগে স্ট্রিম করে শোনেননি শ্রোতারা। হ্যাঁ এটাই টেলর। যার কনসার্টের জন্য ভূমিকম্প হয়, এমনকী যার কনসার্টজুড়ে একটা সিনেমা পর্যন্ত হয়ে যায়। বোঝাই যাচ্ছে কেন তিনি ‘গ্লোবাল সেনসেশন’! পপ আইকনের এমনই প্রভাব। বছর বা দশকের হিসেবে নয়, শতকের নিরিখি টেলরের বিচার হয়। ১২টি গ্র্যামি, ১৪টি এমটিভি ভিডিও মিউজিক অ্যাওয়ার্ডের সঙ্গেই টেলরের ঝুলিতে আছে প্রায় শতাধিক গিনেস বিশ্বরেকর্ড!