
ছবি: সংগৃহীত
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সক্রিয় অভিনেত্রী শবনম ফারিয়া সমসাময়িক বিভিন্ন ইস্যুতে নিজের মতামত প্রকাশ করে থাকেন। সম্প্রতি ঢাকার মিরপুরে পাহাড়ি উদ্যোক্তাদের পরিচালিত ‘হেবাং রেস্টুরেন্টে’ হামলার ঘটনা নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে নিজের ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন শবনম ফারিয়া।
শনিবার (২৬ জুলাই) সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া এক ভিডিওতে দেখা যায়, হেবাং রেস্টুরেন্টে হামলা চালিয়েছে একটি মব সন্ত্রাসী দল। বিষয়টি নিয়ে একটি পোস্ট শেয়ার করেন ফারিয়া, যেখানে বিস্তারিত তুলে ধরা হয় ঘটনার।
পোস্টে উল্লেখ করা হয়, “ঢাকার কাজীপাড়ায় অবস্থিত হেবাং রেস্টুরেন্টটি বিপলি দি নামের এক পাহাড়ি উদ্যোক্তা পরিচালনা করেন। বহু পরিশ্রমে গড়ে ওঠা এই প্রতিষ্ঠানটি কয়েকজন বাঙালি বাসিন্দার দ্বারা বারবার হামলার শিকার হয়েছে। শুধুমাত্র শামুক ও কাঁকড়া রান্নার মতো বিষয়কে কেন্দ্র করে এটি চতুর্থবার এমন ঘটনার মুখে পড়ল। পরিস্থিতি এতোই গুরুতর হয়ে উঠেছে যে, রেস্টুরেন্ট কর্তৃপক্ষ সেটি অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।”
পোস্টে আরও বলা হয়, “এ ধরনের ঘটনা অত্যন্ত উদ্বেগজনক এবং দুঃখজনক। কোনো জাতিগোষ্ঠীর খাদ্যাভ্যাস, ভাষা, সংস্কৃতি বা ধর্ম নিয়ে বিদ্বেষমূলক মন্তব্য করা কিংবা হেনস্তা করাটা কখনোই গ্রহণযোগ্য নয়। কে কী খাবে, কী পরবে—এই সিদ্ধান্ত কারও ওপর চাপিয়ে দেওয়া একধরনের নিপীড়ন। আমি নিজেও সাপ, ব্যাঙ, শামুক খাই, এবং আমার পুরো পরিবারও খায়। এটা যদি অপরাধ হয়, তাহলে সংবিধানে লিখে দেওয়া উচিত আমরা কী খাব।”
সবশেষে লেখা হয়, “এ ধরনের আচরণ অতিরঞ্জিত, হিংসাত্মক এবং দমনমূলক মানসিকতার বহিঃপ্রকাশ। কারও ব্যক্তিগত অপছন্দের ভিত্তিতে অন্যদের জীবনধারায় হস্তক্ষেপ করা শোষণের শামিল। এই দেশ যেমন আপনার, তেমনি আমারও। আমি এর তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।”
ফারিয়া পোস্টটিতে লেখেন, "এরা কারা? এদের কি কোনো কাজ নাই? নিজের চরকায় তেল দিতে পারে না? এই দেশটা কারও বাপ-দাদার সম্পত্তি না। যারা মনে করে দেশটা তাদের ব্যক্তিগত সম্পত্তি, তাদের কী পরিণতি হয়েছে সেটা দেখার বছরও পার হয়নি। অতীত থেকে শিক্ষা না নিলে ভবিষ্যতে আরও ভয়াবহ পরিণতির জন্য প্রস্তুত থাকুন।"
আসিফ