
ছবি: সংগৃহীত
সাবেক বলিউড অভিনেত্রী ও মানবাধিকার কর্মী সোমি আলি কাশ্মীরে সাম্প্রতিক সহিংসতায় ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়িয়েছেন। তিনি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির উদ্যোগে গঠিত পিএম কেয়ার্স ফান্ডে এক হাজার ডলার অনুদান দিয়েছেন।
এই অনুদান প্রসঙ্গে সোমি আলি বলেন, “কাশ্মীরের সহিংসতায় নিহত ও ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে এবং তাঁদের পাশে দাঁড়াতেই আমি এই ক্ষুদ্র অবদান রাখতে চেয়েছি। ভারত আমার হৃদয়ের খুব কাছের একটি দেশ। ন্যায়বিচার, সহমর্মিতা ও আত্মত্যাগে আমি গভীরভাবে বিশ্বাসী। আমাদের সাহসী জওয়ানদের শ্রদ্ধা জানাতেই এই সহায়তা। তাঁদের ত্যাগের তুলনায় আমার এই অবদান সামান্য হলেও, এটি মানবতার ঐক্য ও সহানুভূতির প্রতীক।”
সোমি আরও বলেন, “এই অনুদান রাজনীতি, ধর্ম কিংবা সীমান্তের ঊর্ধ্বে উঠে মানুষের পাশে দাঁড়ানোর একটি প্রয়াস। বিশ্ব যখন নজর রাখছে, তখন ভারতকে শুধু শক্তির মাধ্যমে নয়, সহানুভূতির মাধ্যমেও নেতৃত্ব দিতে হবে।”
সোমি আলি বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা নো মোর টিয়ারস পরিচালনা করছেন এবং সম্যিসম নামে একটি সত্য ও ন্যায়ের আন্দোলন চালু করেছেন।
এদিকে, সম্প্রতি তিনি পাকিস্তানে নারীদের ক্ষমতায়নের গুরুত্ব নিয়েও বক্তব্য দেন। তিনি বলেন, “পাকিস্তানের ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে নারীদের শিক্ষা, উদ্ভাবন ও সহানুভূতিশীলতা বিকাশের ওপর।”
তিনি উদাহরণ দিয়ে বলেন, “লাহোর, রাওয়ালপিন্ডি ও হায়দরাবাদের মেয়েরা এখন ইউএক্স ডিজাইনার, এআই বিশ্লেষক কিংবা ফিল্ম এডিটর হিসেবে কাজ করছে লন্ডন, দুবাই বা সান ফ্রান্সিসকোর কোম্পানিতে। তারা কেবল নিজেরাই এগিয়ে যাচ্ছে না, বরং সমাজকেও বদলে দিচ্ছে। এটি কল্পনা নয়, বাস্তব। বাংলাদেশ, কেনিয়া ও ভিয়েতনামে যা ঘটছে, তা পাকিস্তানেও সম্ভব।”
মিরাজ খান