.
এরই মধ্যে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তার সঙ্গে তেরোজন উপদেষ্টাও দায়িত্ব নিয়েছেন। আশা করা যাচ্ছে শীঘ্রই দেশে আইনশৃঙ্খলা স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসবে। দেশের অন্যান্য অঙ্গনসহ সংস্কৃতি অঙ্গনেও স্বাভাবিক অবস্থা ফেরার প্রত্যাশায় শিল্পীরা। জীবন চলার পথে গানই যাদের পেশা তাদের জীবনও অন্যান্য সবার মতোই স্থিতিশীল হয়ে আছে। ঠিক কবে নাগাদ শিল্পীরা গানে গানে তাদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারবে এটাও এখনো নিশ্চিত নয়।
এই প্রজন্মের সংগীতশিল্পী শারমিন কেয়া, ইয়াসমিন লাবণ্য, মৌলি মজুমদার, তানজিন মিথিলা ও ইসফাত আরা কায়সার রনিসহ অনেকে স্টেজ শোতে ফেরার অপেক্ষায়। শারমিন কেয়ার বেশকিছু শ্রোতাপ্রিয় মৌলিক গান আছে। বছরজুড়েই তিনি কিছুদিন পর পর নতুন নতুন মৌলিক গান প্রকাশ করতেও ভালোবাসেন। স্টেজ শোতে ইংরেজি গান গাইতেই তিনি বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন। পাশাপাশি ফোক আধুনিকও তিনি দারুণ পরিবেশন করেন। তার সর্বশেষ প্রকাশিত মৌলিক গান লুৎফর হাসানের লেখা ও এহসান রাহির সুর করা ‘ছুঁইও না’ গানটি। ইয়াসমিন লাবণ্যর কণ্ঠে সোনালি দিনের গান বেশি শ্রুতিমধুর হয়ে ওঠে। বাংলা আধুনিক গানে একদম নতুন যে প্রজন্মটি চলছে সেখানে ইয়াসমিন লাবণ্যর অবস্থান বলা যায় শীর্ষে। তাকে নিয়ে অনেক সংগীত পরিচালকই কাজ করছেন এখন। শিল্পীরাও তার সঙ্গে দ্বৈত গানে আগ্রহী হয়ে উঠছেন।
গানের পাশাপাশি উপস্থাপনাতেও অনবদ্য লাবণ্য। মৌলি মজুমদার মূলত একজন ফোক ঘরানার শিল্পী। তার কণ্ঠে ফোক গান এক অন্যরকম মাত্রা পায়। হাবিব ওয়াহিদের সঙ্গে তার প্রথম গান ‘থামবে না ভালোবাসা’ শ্রোতা-দর্শকের মধ্যে বেশ সাড়া ফেলেছে। এ ছাড়াও কিছুদিন আগে রাধারমন দত্তের লেখা ও সুর করা ‘কারে দেখাবো মনের দুঃখ’ গানটি শোভন রায়ের মিউজিক অ্যারেঞ্জম্যান্টে চমৎকার গেয়েছেন মৌলি মজুমদার। মিথিলার প্রকাশিত প্রথম মৌলিক গান ছিল তার নিজেরই লেখা, সুর করা ‘আঁধো আঁধো’ গানটি।