ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১

অসাম্প্রদায়িক চেতনা বিকাশের প্রত্যয়ে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের বর্ষবরণ

সংস্কৃতি প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২১:৩১, ১৫ এপ্রিল ২০২৪

অসাম্প্রদায়িক চেতনা বিকাশের প্রত্যয়ে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের বর্ষবরণ

সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের বর্ষবরণ

অসাম্প্রদায়িক চেতনা বিকাশের প্রত্যয়ে ১৪৩১ বঙ্গাব্দ বরণ করে নিয়েছে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট। রবিবার বিকেলে রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এই মনোজ্ঞ বর্ষবরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়, চলে রাত ৯টা অবধি। বর্ষবরণের আয়োজনে সময়ের বিধিনিষেধ যে মানা হবে না, সাংস্কৃতিক জোট তা আগেই জানিয়েছিল।

‘মুছে যাক গ্লানি ঘুচে যাক জরা অগ্নিস্নানে শুচি হোক ধরা’- প্রতিপাদ্যকে ধারণ করে আয়োজিত অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন আন্তর্জাতিক থিয়েটার ইনস্টিটিউটের (আইটিআই) সাম্মানিক বৈশ্বিক সভাপতি রামেন্দু মজুমদার। এ সময় তিনি বলেন, আজকে সারাদিন ধরে আমরা নতুন বছরকে আবাহন করছি। বাংলার যে সংস্কৃতিক ঐতিহ্য এটা আরও প্রসারিত হচ্ছে। এটাকে নিয়ে যারা সমালোচনা করেন, যারা ধর্মের সঙ্গে এটাকে মিলিয়ে ফেলেন, তাদের জন্য বলি, ধর্মের সঙ্গে সংস্কৃতির কোনো বিরোধ নেই। আজকে ধর্মের বিকৃত ব্যাখ্যা দিয়ে জনমনে একটা বিভ্রান্তি সৃষ্টি করা হচ্ছে।

কিন্তু আমি মনে করি, আমাদের এ ধরনের অসাম্প্রদায়িক উৎসবগুলো আমরা যত বেশি করতে পারব, ততই অসাম্প্রদায়িক চেতনা বৃদ্ধি পাবে। কুসংস্কার দূর হবে। নাট্যকার, অভিনেতা মামুনুর রশীদ বলেন, চারদিকে মানুষের ঢল দেখে মনে হচ্ছে যে, সত্যিই বাংলাদেশ একটি অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র এবং এ দেশের মানুষ একটা অসাম্প্রদায়িক উৎসবের প্রতীক্ষা করে সারাবছর ধরে। আমরা চাই সারাদেশে একটা অসাম্প্রদায়িক শিক্ষাব্যবস্থাও রচিত হোক। না হলে সমাজ এবং জাতি বিভক্ত শুধু নয়, অন্ধকারের দিকে ধাবিত হবে।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুছ। তিনি বলেন, শত শত বছর ধরে কৃষিপ্রধান আমাদের এই গ্রামবাংলায় নানা আয়োজনের মধ্যে দিয়ে আমরা বাংলা নববর্ষ আয়োজন করেছি। এমন কোনো গ্রাম নেই, যেখানে বৈশাখীমেলা হয় না। এই উৎসবগুলো হলো বাঙালির শাশ্বত উৎসব।
অন্যদের মধ্যে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সহ-সভাপতি ঝুনা চৌধুরী, আহমেদ গিয়াস, আজহারুল হক আজাদ অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন। আলোচনা শেষে একক ও দলীয় গান, নাচ ও কবিতা আবৃত্তি এবং পথনাটকসহ হরেক আয়োজন ছিল পাঁচ ঘণ্টার অনুষ্ঠানে।

×