ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১

সংস্কৃতি সংবাদ

শিল্পকলায় পীরচানের পালার উদ্বোধনী মঞ্চায়ন

সংস্কৃতি প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ০০:২৪, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৩

শিল্পকলায় পীরচানের পালার উদ্বোধনী মঞ্চায়ন

শিল্পকলায় মঞ্চস্থ পীরচানের পালা নাটকের দৃশ্য

ঢাকার নাট্যমঞ্চে বইছে সুসময়। তাই এখন দারুণ সরব রাজধানীর থিয়েটার অঙ্গন। সেই সুবাদে চঞ্চলতা বিরাজ করছে শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার তিনটি নাট্যমঞ্চসহ নাটক পাড়াখ্যাত বেইলি রোডের মহিলা সমিতি মিলনায়তনে। এসব মিলনায়তনে সপ্তাহের প্রায় সাত দিনই মঞ্চস্থ হচ্ছে বিভিন্ন নাট্যদলের বিবিধবিষয়ক প্রযোজনা। সেসব নাটক উপভোগে নাট্যপ্রেমীদের সমাগমে সুন্দরতম দৃশ্যকল্পের দেখা মিলছে। সময়ের অভাবে আগে দেখা হয়নি সুযোগ বুঝে সেই নাটকটি দেখে নিচ্ছেন নাটকের দর্শকরা।

আবার পুরনো নাটকের পাশাপাশি প্রতি মাসেই মঞ্চে আসছে নতুন প্রযোজনা। সেই স্রোতধারার বৃহস্পতিবার ঢাকার যুক্ত হলো আরেকটি নতুন নাটক। এদিন বৃষ্টি¯œাত সন্ধ্যায় শিল্পকলা একাডেমির নাট্যশালার এক্সপেরিমেন্টাল থিয়েটার হলে পীরচাঁনের পালা শীর্ষক প্রযোজনাটির উদ্বোধনী প্রদর্শনী হয়। আজ শুক্রবার ছুটির দিনে একই ভেন্যুতে বিকেল পাঁচটা ও সন্ধ্যা সাতটায় নাটকটির দ্বিতীয় ও তৃতীয় মঞ্চায়ন হবে।  
শব্দ নাট্যচচা কেন্দ্রের ২৮তম প্রযোজনা পীরচাঁনের পালা। নরওয়ের নাট্যকার হেনরিক ইবসেন রচিত ‘পিয়ের গিন্ট’ নাটক অবলম্বনে পীরচাঁনের পালা নাটকটি লিখেছেন সব্যসাচী সৈয়দ শামসুল হক। প্রযোজনাটির নির্দেশনা দিয়েছেন শব্দ নাট্যচর্চা কেন্দ্রের প্রাণপুরুষ খোরশেদুল আলম। প্রযোজনাটি প্রসঙ্গে খোরশেদুল আলম বলেন, পীরচাঁনের পালা নাটকে প্রাচ্য-পাশ্চত্যে, ঐতিহ্য-আধুনিকতা, প্রাজ্ঞতা-বিনোদন এই ত্রয়ের মেলবন্ধন ঘটানো হয়েছে। এ ছাড়া ঘটনাপ্রবাহের সঙ্গে প্রাধান্য সংগীতের আবহ। সেই সূত্রে সংলাপের মাঝে রয়েছে সুর-তাল ও লয়ের খেলা। 
নাটকের কেন্দ্রীয় চরিত্র বাংলার যুবক পীরচাঁন। আশৈশব বঞ্চনার মাঝে বেড়ে ওঠে এই তরুণ। তাই নিয়তির নির্মমতায় জন্মের পর পিতৃহারা হতে হয় পীরচাঁনকে। সেই প্রতিকূলতার মাঝেই ভিটেমাটির তিন ভাগের দেড় ভাগ গ্রাস করে নেয় যমুনায় ধেয়ে আসা বানের জল। বাকি দেড় আনা খাজনা বকেয়ার কারণে বন্ধক থাকে দেওয়ানের কাছে। দারিদ্র্যে নিমজ্জিত সেই সংকুল পরিস্থিতিতে তার একমাত্র অবলম্বন ক্ষয়িষ্ণু প্রায় মা আসিয়া। তাই ছেলের প্রণয়ের সংবাদে খুশি হন মা।

এই মা ভাবে, তার পুত্র পীরচাঁনের যেহেতেু মাতব্বর কন্যা সোহাগীকে তাই সামনে সুদিন আসতে পারে। তাদের বিয়ের মাধ্যমে মাতব্বরের ধন সম্পদ আগমনের কারণে তাদের অবস্থার উন্নতি হবে। কিন্তু সেই স্বপ্ন পূরণের মাঝে দেওয়াল হয়ে দাঁড়িয়ে যায় জোতদার আসমত। টাকার প্রলোভন আর ক্ষমতার জোর দিয়ে জোতদার আসমত বিয়ে করতে চায় সোহাগীকে। ভালোবাসার সোহাগীকে আগলে রাখতে এবং আসমতের হাত থেকে রক্ষা করার সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এগিয়ে যায় নাটকের কাহিনী। 

×