হৃদি হক, ফেরদৌস ও সোনিয়া হোসেইন
বরেণ্য নাট্যব্যক্তিত্ব প্রয়াত ড. ইনামুল হকের জন্মদিন ছিল সোমবার। জন্মদিনে তারই কন্যা হৃদি হক পরিচালিত প্রথম সিনেমা ‘১৯৭১ সেইসব দিনের টিজার, ট্রেইলার প্রদর্শনের পাশাপাশি সংবাদ সম্মেলনও অনুষ্ঠিত হয়ে গেল সেদিন শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার মূল মিলনায়তনে। যেহেতু ‘১৯৭১ সেইসব দিন’র মূল ভাবনা ইনামুল হকের। তাই তার জন্মদিনে তাকেই নিবেদন করে এমনদিনে এই আয়োজন করা হয়।
বাংলাদেশের হৃদি হকের ‘১৯৭১ সেইসব দিন’র সংবাদ সম্মেলনের মধ্যদিয়ে সিনেমার সংবাদ সম্মেলনের এক নতুন যাত্রা শুরু হলো। এর আগে কোনো সিনেমার মুক্তির আগে এতটা নান্দনিক, শৈল্পিক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়নি, অনুষ্ঠানে আগত সবারই ভাষ্য ছিল এমন। তবে সংবাদ সম্মেলন শুরুর আগে ‘১৯৭১ সেইসব দিন’ সিনেমার হাতে আঁকা ব্যানারের উদ্বোধন করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে অনুষ্ঠানের উপস্থাপনা করেন আফজাল হোসেন।
মঞ্চে একসময় ডেকে নেওয়া হয় আবুল হায়াত, মামুনুর রশীদ, সারা যাকের, তৌকীর আহমেদসহ আরও সিনিয়র শিল্পী যারা ছিলেন। সিনেমার চিত্রনাট্য ও সংলাপ রচনা করেছেন হৃদি হক নিজেই।
এই সিনেমাতে হৃদি অভিনয় করেছেন বীথি চরিত্রে। তার বিপরীতে ফেরদৌস অভিনয় করেছেন সঞ্জু নামক একজন শিক্ষকের চরিত্রে। হৃদি হক বলেন, যেহেতু আব্বুর জন্মদিন ছিল ২৯ মে। তাই আমাদের সিনেমা ১৮ আগস্ট মুক্তির জন্য প্রস্তুত হলেও আমরা আব্বুকে নিবেদন করেই তারই জন্মদিনে সংবাদ সম্মেলনটি করেছি, যাতে অনুভবে-শ্রদ্ধা ভালোবাসায় আমরা তাকে পাই। ফেরদৌস বলেন, আমি কোনো সিনেমার এতো সুন্দর, এতো চমৎকার সংবাদ সম্মেলন দেখিনি। আফজাল ভাইয়ের উপস্থাপনা, সিনিয়র শিল্পীদের অংশগ্রহণ এবং সংবাদ সম্মেলনে নতুন এক ধারা সৃষ্টির মধ্যদিয়ে হৃদি এবং তার পুরো টিম দেখিয়ে দিয়েছে যে চাইলেই একটি অনুষ্ঠান অনেক বেশি নান্দনিক হতে পারে। সিনেমার হাতে আঁকা পোস্টারের মধ্যদিয়ে আমাদের সিনেমার পুরোনো ঐতিহ্যকেই ফিরিয়ে আসার চেষ্টা করা হয়েছে।
আমি মনেকরি মুক্তিযুদ্ধের সময়কার গল্পের এই সিনেমা বাংলাদেশের প্রত্যেক সচেতন নাগরিকের দেখা উচিত। আমি ১৯৭১ সেইসব দিন’র সার্বিক সাফল্য কামনা করছি। সোনিয়া হোসেইন বলেন, আমি হৃদি আপুর প্রতি কৃতজ্ঞ যে এতো অসাধারণ একটি সিনেমায় আমাকে তিনি মন থেকে সম্পৃক্ত রেখেছেন। আমার অভিনয় জীবনের একটি সিগনেচার সিনেমা হয়ে থাকবে ‘১৯৭১ সেইসব দিন।’