ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

বহ্নিশিখার প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদ্যাপিত

সংস্কৃতি প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২১:৩০, ২৬ নভেম্বর ২০২২

বহ্নিশিখার প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদ্যাপিত

সংগীত পরিবেশন করেন বহ্নিশিখার শিল্পীরা

বাঙালি সংস্কৃতির শেকড় সন্ধান এবং সম্প্রীতির সমাজ বিনির্মাণের প্রত্যয়ে ২০০৫ সালে ২৫ নভেম্বর গড়ে ওঠে সাংস্কৃতিক সংগঠন বহ্নিশিখা। সময়ের ¯্র্েরাতধারায় শুক্রবার প্রতিষ্ঠার ১৭ বছর পূর্ণ করল সংগঠনটি। সাফল্যের সেই উদ্যাপনে এদিন সন্ধ্যায় জাতীয় জাদুঘরের সুফিয়া কামাল মিলনায়তেনে গান ও কবিতায় সজ্জিত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক আবৃত্তিশিল্পী মো. আহ্কাম উল্লাহ্ ও গণসংগীত সমন্বয় পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মানজার চৌধুরী সুইট। সভাপতিত্ব করেন বহ্নিশিখার সভাপতি লেখক ও গবেষক গোলাম কুদ্দুছ। স্বাগত বক্তব্য দেন সংগঠনের সম্পাদক আবিদা রহমান সেতু।
সভাপতির বক্তব্যে গোলাম কুদ্দুছ বলেন, বাঙালি সংস্কৃতির শেকড় অনুসন্ধানের সমান্তরালে দেশের গণসংগীতের ধারাকে উজ্জীবিত করার লক্ষ্য নিয়ে গড়ে ওঠে বহ্নিশিখা। সেই লক্ষ্যের বাস্তবায়নে গণসংগীত ও লোকসংগীত উৎসব আয়োজন করা হয়েছে। আমরা চেয়েছি সংস্কৃতি চর্চাকে সাধারণের কাছে পৌঁছে দিতে চেয়েছি।

গণসংগীত ও লোকসংগীতের ধারাকে ছড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছি। কারণ, বাঙালির লোকসংগীতের ধারাটিই পরিপুষ্ট করেছে গণসংগীতকে। সংগীতের সমান্তরালে নৃত্য ও আবৃত্তি নিয়েও আমরা কাজ করেছি। সেই সুবাদে দেশের পাশাপাশি ভারতের আসামসহ বিভিন্ন অঞ্চলেও সমাদৃত হয়েছে বহ্নিশিখার পরিবেশনা।
অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বে অনুষ্ঠিত হয় সোনাঝরা সেই দিনের কথা শীর্ষক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। গোলাম কুদ্দুছের রচিত গান ও কবিতার সমন্বিত পরিবেশনাটির পরিচালনায় ছিলেন আবিদা রহমান সেতু। এতে সংগীত পরিবেশন করেন উর্মি হালদার, সাহিদা রহমান সুরভী, আসিফ ইকবাল সৌরভ, সুন্যায়না সিদ্দিকী, গীতা পালমা, ঝর্ণা বিশ্বাস, জাহিদুল ইসলাম মুরাদ, যুথী দেবী সূত্রধর, জিনিয়া জাফরিন, নির্ঝর দাশ ও আম্মান ইসলাম।

আবৃত্তি পরিবেশন করেন মাহফুজা আক্তার মিরা ও তারেক আলী মিলন। গান ও কবিতার সেই পরিবেশনাগুলোর শিরোনাম ছিল- জন্মভূমির ধূলো গায়ে মেখে, আয় ছুটে আয়রে, ও আকাশ তুমি আর কেঁদো নাকো, মন যারে চায় বন্ধুরে।

×