.
এ সময়ের সাড়া জাগানো দুটি নাটক নিয়ে ম্যাড থেটার ভারতের আসাম রাজ্যের রাজধানী গুয়াহাটি যাচ্ছে। নাটক দুটি হচ্ছে এ সময়ের আলোচিত প্রযোজনা ‘রবীন্দ্রনাথের দ্বিতীয় বিজয়া’ ও ‘অ্যানা ফ্রাঙ্ক’। দুটি নাটকই ঐতিহাসিক চরিত্র নির্ভর। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও ভিক্টোরিয়া ওকাম্পোর আর্জেন্টিনার স্মৃতি নিয়ে রচিত নাটক ‘রবীন্দ্রনাথের দ্বিতীয় বিজয়া’ আর দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলাকালীন যুদ্ধের ভয়াবহতা, দুঃস্বপ্ন ও মানবিক বিপর্যয়কে ডায়েরির পাতায় তুলে এনে বিশ্বকে চমকে দেওয়া কিশোরীর আত্মগোপনে থাকা দিনগুলোর বিভীষিকাময় আত্মকথার নাটক ‘অ্যানা ফ্রাঙ্ক’। আসামের ব্যাতিক্রম মাসদোর আয়োজনে গুয়াহাটি শ্রীমন্ত শংকরদেব কলাক্ষেত্র মিলনায়তনে আজ শনিবার মঞ্চায়ন হবে দুটি নাটকের পর পর দুটি প্রদর্শনী।
দুটি নাটকেরই রচয়িতা ম্যাড থেটারের দলপ্রধান আসাদুল ইসলাম। তার মতে করোনা-উত্তর পৃথিবী এখন যুদ্ধবিধ্বস্ত বিপর্যস্ত এবং বিয়োগান্ত ব্যথায় কাতর। অশান্ত পৃথিবীর মানুষের মনে অশান্তির বীজ আর বিষ। অশান্তি থেকে মানুষকে মানবিক প্রেমে ও সম্পর্কের বাঁধনে সম্মোহিত করতে ‘রবীন্দ্রনাথের দ্বিতীয় বিজয়া’ ও ‘অ্যানা ফ্রাঙ্ক’ নাটক দুটি অনিবার্যভাবে প্রাসঙ্গিক ও প্রয়োজনীয়। ম্যাড থেটারের প্রযোজনা দুইটি গুয়াহাটি দর্শকের মন নিশ্চিতভাবে জয় করে নেবে। এর আগে ‘নদ্দিউ নতিম’ নাটকটি নিয়ে ম্যাড থেটার দু’বার গুয়াহাটি সফর করেছে। এবার ম্যাড থেটারের তৃতীয় সফর।
সান ইসিদ্রো থেকে শান্তি নিকেতন, ভিক্টোরিয়া ওকাম্পোর সান্নিধ্যে থাকা-না থাকা রবীন্দ্রনাথের সেই সময়কে অন্য একটি সময়ে এসে ফিরে দেখার অসামান্য উদ্ভাবন ‘রবীন্দ্রনাথের দ্বিতীয় বিজয়া’।
মানুষের সঙ্গে মানুষের প্রেম আর প্রেমের ক্ল্যাসিক কাহিনিগুলোই পারে যুদ্ধ বিধ্বস্ত কাহিল পৃথিবীকে নবধারা জলে স্নাত করতে। বিদ্বেষশূন্য প্রেমময় পৃথিবীর জন্য আমাদের প্রতিদিনের প্রচেষ্টা ও প্রতীক্ষায় ‘রবীন্দ্রনাথের দ্বিতীয় বিজয়া’ একটি নির্মল গোলাপ। মানুষের অবচেতনে এক ধরনের সূক্ষ্ম পাগলামি কাজ করে। এই পাগলামি ব্যবহার করে কেউ কেউ প্রথাগত যুক্তি বুদ্ধির দেওয়াল ভেঙে নতুন সমীকরণ আমাদের সামনে দাঁড় করায়। যারা এই পাগলামি ব্যবহার করতে পারে তারা প্রচলিত ধারার বাইরে নতুন কিছু করার সম্ভাবনা তৈরি করে। সেই সম্ভাবনাকে থিয়েটারের মাধ্যমে প্রকাশ করার জন্য ম্যাড থেটার।