
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়স্থ ময়মনসিংহ জেলা ছাত্রকল্যাণ সমিতির ২০২৫-২৬ কার্যবর্ষের ৮৫ সদস্য বিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। ২১ মে (বুধবার), সংগঠনের সভাপতি ফাহিম আহম্মেদ মন্ডল (নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা, ৪৭) এবং সাধারণ সম্পাদক রাসেল আকন্দ (দর্শন, ৪৮) স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই কমিটি প্রকাশ করা হয়।
কমিটিতে জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন প্রণব সরকার হরি (গণিত, ৪৮)। সভাপতিমণ্ডলীতে রয়েছেন মামুনুর রশীদ আদনান (একাউন্টিং, ৪৮), সানজিদা মীম (পরিবেশ বিজ্ঞান, ৪৮), সাদিয়া নওরীন সুস্মি (নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা, ৪৭), সাদিয়া আফরীন তিশা (নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা, ৪৮), সানজিদা লুবনা (আইআর, ৪৮), জাফরিন উষ্ণ (পরিবেশ বিজ্ঞান, ৪৮), তৌকির আহমেদ প্রাঙ্গন (নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা, ৪৮), মৃণ্ময় দাস (সরকার ও রাজনীতি, ৪৯), সানিয়ান আহমেদ (বায়োকেমিস্ট্রি, ৪৯) ও আসিফুল হাসান অমিত (আইন ও বিচার বিভাগ, ৪৯)।
জ্যেষ্ঠ যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক হিসেবে আছেন মোঃ শফিকুল ইসলাম সানি (ভূতাত্ত্বিক বিজ্ঞান, ৪৮)। যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদকমণ্ডলীতে রয়েছেন গোলাম মোরশেদ (পাবলিক হেলথ, ৪৯), আসিফ মাহমুদ (দর্শন, ৪৯), জিদান আহমেদ (পরিসংখ্যান, ৪৯), শাহরিন বিনতে জামান তুলি (ইতিহাস, ৪৯), মো. নাজমুল হোসাইন (দর্শন, ৫০), নূর হোসাইন (পরিসংখ্যান, ৫০), শরফুজ্জামান সাজ্জাদ (আইআর, ৫০), মামুনুর রশিদ (প্রত্নতত্ত্ব, ৫০), মো. মোস্তাফিজুর রহমান (পরিসংখ্যান, ৫০), আরিফুল ইসলাম (পদার্থবিজ্ঞান, ৫০), রিয়াজুল রিয়াজ (গণিত, ৫০) ও সাদেকুল ইসলাম রাকিব (ইতিহাস, ৫০)।
অত্র কমিটির কোষাধ্যক্ষ ও প্রধান মুখপাত্র হয়েছেন মারজান মুগ্ধ (পরিবেশ বিজ্ঞান, ৪৮)। উপ-কোষাধ্যক্ষ হিসেবে রয়েছেন ফারহানা ইয়াসমিন শিলা (ভূগোল ও পরিবেশ, ৫১) ও ইশতিয়াক আহমেদ অনিক (বায়োকেমিস্ট্রি, ৫১)।
সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে রয়েছেন আব্দুল্লাহ আল নোমান (অর্থনীতি, ৫০)। উপ-সম্পাদক হিসেবে আছেন হাসিম মিয়া (সরকার ও রাজনীতি, ৫১) এবং সহ-সম্পাদক তানজিমুর রহমান তন্ময় (সরকার ও রাজনীতি, ৫৩) ও আবিদা আক্তার তিশা (জার্নালিজম, ৫৩)।
দপ্তর সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন তানভীর আহমেদ শিশির (ইংরেজি, ৫১)। দপ্তর উপ-সম্পাদক রাকিবুল ইসলাম (ইংরেজি, ৫২) এবং দপ্তর সহ-সম্পাদক সারা সাদিকা (ফার্মেসি, ৫৩)।
গণসংযোগ ও প্রচার সম্পাদক রুকাইয়া সানিয়া (জার্নালিজম, ৫১)। উপ-সম্পাদক মো. লাদেন (জার্নালিজম, ৫১) ও সহ-সম্পাদক মেহেরুন্নেসা লুবনা (পদার্থবিজ্ঞান, ৫৩)।
সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক ইসরাত জাহান মুন্নি (প্রত্নতত্ত্ব, ৫১)। উপ-সম্পাদক উপমা ইসলাম (ইতিহাস, ৫২)। সহ-সম্পাদকরা হলেন শায়লা সাবরিন নিঝুম (নাটক ও নাট্যতত্ত্ব, ৫৩), ইফফাত জাহান বিথী (বাংলা, ৫৩) ও জ্যোতির্ময় চক্রবর্তী অজয় (নৃবিজ্ঞান, ৫৩)।
ক্যারিয়ার বিষয়ক সম্পাদক বায়েজিদ আহমেদ (নৃবিজ্ঞান, ৫১)। উপ-সম্পাদক মোশাররফ হোসাইন আশরাফুল (বায়োকেমিস্ট্রি, ৫২), সহ-সম্পাদক ফাইজা আক্তার ইভা (প্রাণিবিদ্যা, ৫৩)।
শিক্ষার্থী কল্যাণ সম্পাদক রিফাত উল্লাহ পাঠান (অর্থনীতি, ৫১)। উপ-সম্পাদক মো. নাঈম হোসাইন (প্রত্নতত্ত্ব, ৫২) এবং সহ-সম্পাদক আছিয়া আরা নূর (বাংলা, ৫৩)।
পাঠচক্র বিষয়ক সম্পাদক মো. এফ এম রাফিদ (পাবলিক হেলথ, ৫১)। উপ-সম্পাদক আরওয়া রহমান মাইশা (পরিসংখ্যান, ৫২)। সহ-সম্পাদক মো. পারভেজ আহমেদ (ইতিহাস, ৫৩) ও মালিহা মোস্তারি সূচি (ইতিহাস, ৫৩)।
আইন ও নীতি সম্পাদক সোহেল রানা (আইন ও বিচার, ৫১)। উপ-সম্পাদক ফাহিম আলম (দর্শন, ৫২)।
অভ্যর্থনা বিষয়ক সম্পাদক ফারিহা জান্নাতি (আন্তর্জাতিক সম্পর্ক, ৫২)। উপ-সম্পাদক সালমান জাহান সাকি (বাংলা, ৫২)। সহ-সম্পাদক সেজান জামান (সরকার ও রাজনীতি, ৫৩)।
আপ্যায়ন বিষয়ক সম্পাদক মাহমুদুল হাসান শাকিব (নৃবিজ্ঞান, ৫১)। উপ-সম্পাদক ইব্রাহিম খলিল সাব্বির (বায়োকেমিস্ট্রি, ৫২)। সহ-সম্পাদক তাজওয়ার তাহমিদ তামিম (পদার্থবিজ্ঞান, ৫৩)।
কর্মপরিকল্পনা বিষয়ক সম্পাদক ইব্রাহিম খলিল (দর্শন, ৫১)। উপ-সম্পাদক শিখা আক্তার (সরকার ও রাজনীতি, ৫১)। সহ-সম্পাদক শুভ্র আচার্য (আইআর, ৫৩)।
দক্ষতা উন্নয়ন বিষয়ক সম্পাদক ফাতেমা মাহফুজ সারা (বাংলা, ৫২)। সহ-সম্পাদক সীমান্ত কুমার বসাক (উদ্ভিদবিদ্যা, ৫৩)।
সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক তানিয়া খাতুন ইকরা (ইংরেজি, ৫২)। সহ-সম্পাদক দিদারুল ইসলাম (বাংলা, ৫৩)।
ক্রীড়া সম্পাদক মিজানুর রহমান (অর্থনীতি, ৫১)। উপ-সম্পাদক সিয়াম আহমেদ (বাংলা, ৫২)। সহ-সম্পাদক আবিদ হোসেন সিয়াম (পরিবেশ বিজ্ঞান, ৫৩)।
পরিবেশকল্যাণ সম্পাদক আনিকা নাওয়ার মুগ্ধ (পরিবেশ বিজ্ঞান, ৫২)। সহ-সম্পাদক অরূপ চন্দ্র মল্লিক (পদার্থবিজ্ঞান, ৫৩) ও সাবরিয়া আক্তার (পদার্থবিজ্ঞান, ৫৩)।
কার্যকরী সদস্য হিসেবে রয়েছেন তাসনিম আক্তার দিয়ামনি (আইআইটি, ৫৩), আদনান রাকিব (উদ্ভিদবিদ্যা, ৫৩), সুমাইয়া সুলতানা শিপ্তী (সিএলসি, ৫৩), জুবায়ের হোসেন জেসান (বায়োটেকনোলজি, ৫৩), রাকিবুল হাসান রিনাদ (অর্থনীতি, ৫৩), আসাদুজ্জামান আসাদ (উদ্ভিদবিদ্যা, ৫৩), সাবিহা আফরিন নিুপ (আইআর, ৫৩), সেঁজুতি আফরিন প্রমি (সিএলসি, ৫৩), মারিয়া সুলতানা মিতু (সিএলসি, ৫৩) ও মুশফিকুর রহমান আসিফ (রসায়ন, ৫৩)।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের ০২ ফেব্রুয়ারি ফাহিম আহম্মেদ মন্ডলকে সভাপতি এবং রাসেল আকন্দকে সাধারণ সম্পাদক করে ১৩ সদস্যের একটি আংশিক কমিটি ঘোষণা করা হয়, যা প্রায় তিন মাস পর পূর্ণাঙ্গ রূপ পেল।
কমিটি পূর্ণাঙ্গ উপলক্ষ্যে সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা ও উপদেষ্টা জনাব মোঃ আমিনুল ইসলাম (রানা) বলেন, “ময়মনসিংহ জেলার শিক্ষার্থীদের সহায়তাকল্পেই এই সংগঠনের যাত্রারম্ভ। আশা করি, তালিকা পূর্ণাঙ্গ করার মাধ্যমে এই কাজে বর্তমান কমিটি আরও সুন্দর ও গোছালোভাবে সম্পন্ন করতে পারবে।”
সংগঠনের আরেক উপদেষ্টা ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক রিফাত আকন্দ অন্তর বলেন, “জেলাভিত্তিক সংগঠন হিসেবে জাহাঙ্গীরনগরের সবচেয়ে বড় সংগঠন ময়মনসিংহ জেলা ছাত্রকল্যাণ সমিতি। আমাদের আশা বর্তমান কমিটি সাবেক-বর্তমান সবাইকে সঙ্গে নিয়ে আগত সময়ের জন্য একটা সুন্দর দৃষ্টান্ত স্থাপন করবে।”
সংগঠনের বর্তমান সাধারণ সম্পাদক রাসেল আকন্দ বলেন, “সদস্যদের আগ্রহ, পূর্বের কাজ এবং যোগ্যতার ভিত্তিতে কমিটি পূর্ণাঙ্গের চেষ্টা করেছি। সবার সক্রিয় অংশগ্রহণ আমাদের কার্যক্রমকে আরও গতিশীল করবে বলে আশা করি।”
কমিটির কোষাধ্যক্ষ ও মুখপাত্র মারজান মুগ্ধ বলেন, “আমাদের কমিটির কার্যক্রমের প্রারম্ভ থেকেই আমরা চেষ্টা করছি, গতানুগতিক ধারার বাইরে সৃজনশীল একটা জেলা সমিতি উপহার দেয়ার। সে লক্ষ্যে সবাইকে সঙ্গে নিয়ে মেয়াদকালীন সময়ে কাজ করে যেতে চাই। আশা করি পরবর্তী ব্যাচগুলোর জন্য ভালো একটা মানদণ্ড আমরা রেখে যেতে পারবো। ইনশাআল্লাহ।”
নুসরাত