
ছবি: সংগৃহীত
নারী শিক্ষার্থীর সাথে অনৈতিক সম্পর্কের অভিযোগে আটকের ঘটনায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিন্যান্স বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মোহাম্মদ হেদায়েত উল্লাহ ও একই বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের এক ছাত্রীকে একাডেমিক কার্যক্রম থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। আজ বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য ও সিন্ডিকেট সদস্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন খান গতকালের ৫৩৯তম সিন্ডিকেট সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয় বলে নিশ্চিত করেছেন।ঘটনাটি অধিকতর খতিয়ে দেখতে পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠিত হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে তিনি বলেন, 'বিভাগের তদন্ত কমিটির সুপারিশের প্রেক্ষিতে অধিকতর তদন্তের প্রতিবেদন না আসা পর্যন্ত ওই শিক্ষক এবং ছাত্রী বিভাগের কোনো একাডেমিক কার্যক্রমে অংশ নিতে পারবেন না বলে সিন্ডিকেট সভায় সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। ঘটনাটি অধিকতর তদন্তে ফার্মেসি বিভাগের অধ্যাপক এম গোলাম সাদিককে আহ্বায়ক করে পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠিত হয়েছে। উক্ত কমিটিকে দ্রুততম সময়ের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।'
প্রসঙ্গত, ১১ই মে ফিন্যান্স বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক হেদায়েত উল্লাহ এবং একই বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের এক নারী শিক্ষার্থীকে অনৈতিক সম্পর্কের অভিযোগে আটক করা হয়েছিলো । এরপর ঘটনার একটি ভিডিও ক্লিপ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে ভিডিও ধারণ করে সাবেক সমন্বয়ক-সাংবাদিকসহ চার শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে তিন লাখ টাকা চাঁদাবাজির অভিযোগ করে ওই শিক্ষক-ছাত্রী সংবাদ সম্মেলন করেন। তবে পাল্টা সংবাদ সম্মেলনে দুই সাংবাদিক চাঁদাবাজির সঙ্গে জড়িত নয় বলে দাবি করেন । গত ২০ মে এ অভিযোগে শিক্ষক বাদী হয়ে মতিহার থানায় চার শিক্ষার্থীর নামে মামলা দায়ের করেন। এদিকে ফিন্যান্স বিভাগের শিক্ষার্থীরা শিক্ষক-ছাত্রীকে বহিষ্কার দাবিতে মানববন্ধন এবং সংবাদ সম্মেলন করেন। মামলায় অভিযুক্ত সাজ্জাদ কালবেলা ও সুমন খবরের কাগজের বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি ছিলেন। দুজনকেই প্রতিষ্ঠান থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। এবং অভিযুক্ত অপর দুজন শিক্ষার্থী হলেন আইন বিভাগ ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী নাজমুস সাকিব এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক মো. আতাউল্লাহ। তদন্তের স্বার্থে শিক্ষক হেদায়েত উল্লাহর কক্ষ সিলগালা করে দেয়া হয়েছে।
আসিফ