
ছবি: দৈনিক জনকন্ঠ
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে রাকসু নির্বাচনের আচরণবিধি, খসড়া ভোটার তালিকা, পূর্ণাঙ্গ তফশিল ঘোষণা ও শতভাগ আবাসনের দাবি জানিয়ে মানববন্ধন কর্মসূচি করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
আজ রবিবার (১৮ মে) দুপুর ২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যারিস রোডে এ কর্মসূচি পালিত হয়।
মানববন্ধনে তারা রাকসু নির্বাচনের রোডম্যাপ অনুযায়ী কার্যক্রম পরিচালনা এবং শতভাগ আবাসনের দাবি জানায় এবং সোমবার (১৯ মে) ছাত্রসমাবেশের ডাক দেয়।
এসময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক মেহেদী হাসান সজিব বলেন, “রাকসু নির্বাচনের জন্য প্রশাসন থেকে নির্বাচন কমিশনার গঠন করা হয়েছিল। দুঃখজনক হলেও সত্য নির্বাচন কমিশনার কোন ফলপ্রসূ কাজ করতে পারে নাই। রাকসু নির্বাচনের আচরণবিধি এবং খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশের তারিখ অতিক্রম হয়ে গেলেও এখনো তারা প্রকাশ করতে পারেনি। আমাদের দাবি হচ্ছে রোডম্যাপ অনুযায়ী রাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হোক।
অনাবাসিক শিক্ষার্থীদের আবাসিক ভাতা প্রদানের দাবিতে তিনি বলেন, “রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ৭২ বছর হলেও এখনো আবাসন সংকট কাটিয়ে উঠতে পারেনি। ৩০-৩৫ শতাংশ আবাসিকতার আওতায় আনা হয়েছে। বাকিটা কেন আওতায় আনতে পারেনি সেটার জবাব দিতে হবে। আর যে-সব শিক্ষার্থী অনাবাসিক তাদের আবাসিক ভাতা প্রদান করতে হবে।
সমাবেশে আইন বিভাগের শিক্ষার্থী ফাহির আমিন বলেন, “আমাদের জুলাই আন্দোলনের ৯ দফা দাবির মধ্যে অন্যতম দাবি ছিল দেশের প্রত্যেকটা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র সংসদ চালু করা। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে সেই রাকসু চালু করার জন্য যখন আমরা রাজপথে দাঁড়ালাম, ঠিক সেই মুহূর্তে দেখতে পাচ্ছি কোনো কোনো রাজনৈতিক দল রাকসুর বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। তারা ঢাকা থেকে দলের নির্দেশনায় সাধারণ শিক্ষার্থীদের আকাঙ্ক্ষার বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছে। আজকের মানববন্ধন থেকে আমরা স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিতে চাই, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে রাকসু হবে কি হবে না সেই সিদ্ধান্ত নিবে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা। এই সিদ্ধান্ত আসবে রাজপথ থেকে ঢাকা থেকে নয়।”
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক নুরুল ইসলাম শহীদের সঞ্চালনায় এসময় আরও বক্তব্য দেন বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক আকিল বিন তালেব, ফাহিম রেজা, অনিক মাহমুদ, ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী তাজুল ইসলাম এবং উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী আবু জোবাইর। এসময় প্রায় অর্ধ শতাধিক শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।
মিরাজ খান