
ছবি : জনকণ্ঠ
কোতোয়ালি থানা যুবদলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক ও বক্সিরহাট ওয়ার্ড যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোঃ দিদারুল ইসলাম দিদার অভিযোগ করেছেন, দীর্ঘ ১৭ বছর ধরে তিনি এবং তার পরিবার রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মিথ্যা মামলা ও হয়রানির শিকার হচ্ছেন।
১৮ মে (রোববার) চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের এস. রহমান হলে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, “২০০৭ সাল থেকে স্বৈরাচারী শাসনের সময়ে এবং সাম্প্রতিক সময়েও রাজনৈতিক দলের একাধিক নেতা আমাদের বিরুদ্ধে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মামলা দিয়ে হয়রানি করছে। ষড়যন্ত্রের নেপথ্যে রয়েছেন বক্সিরহাট ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতা সালাউদ্দিন মাঝি ও তার ছেলে যুবলীগ নেতা মোহাম্মদ সোহাগ।”
তিনি জানান, তার ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে ইতোমধ্যে ২০টিরও বেশি মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে, যার ফলে তাদের ব্যবসা, সামাজিক অবস্থান ও পারিবারিক নিরাপত্তা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
দিদারুল ইসলাম অভিযোগ করেন, “২০২৪ সালের জুলাইয়ে স্বৈরাচারী সরকারের পতনের পর আমরা আবারও ব্যবসা পরিচালনায় মনোনিবেশ করার চেষ্টা করি। কিন্তু সালাউদ্দিন মাঝি ও তার ছেলে সোহাগ একটি চক্র গঠন করে আমাদের বিরুদ্ধে নতুন করে ষড়যন্ত্র শুরু করে।”
তিনি দাবি করেন, ওই চক্রটি চাক্তাই এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে অবৈধ ব্যবসা, ট্যানারির বিষাক্ত বর্জ্য ব্যবহার করে পোল্ট্রি ফিড উৎপাদনসহ নানা অপকর্মে জড়িত। এদের বিরুদ্ধে প্রশাসন জরিমানাও করেছে বলে জানান তিনি।
দিদারুল আরও বলেন, “চলতি বছরের ২১ মার্চ যৌথবাহিনী আমার দুই ভাই মোঃ আজগর ও ছোটন মিয়াকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠায়। কিন্তু তদন্তে অভিযোগ মিথ্যা প্রমাণিত হওয়ায় আদালত মামলাগুলো প্রত্যাহার করেন। একইভাবে চান্দগাঁও ও পাঁচলাইশ থানার দুটি হত্যা মামলাও ভিত্তিহীন বলে প্রত্যাহার হয়েছে।”
তিনি দাবি করেন, তাদের অফিসের কর্মচারীরাও হয়রানির শিকার হয়েছেন। এমনকি সালাউদ্দিন মাঝির কারখানার এক মহিলা কর্মীর মেয়েকে ব্যবহার করে তার বিরুদ্ধে ধর্ষণ চেষ্টার মিথ্যা মামলাও দায়ের করা হয়। পরে আদালত মামলাটিকে ভিত্তিহীন ঘোষণা করে জামিন দেন এবং বাদিনীকে মুচলেকায় মুক্তি দেন।
দিদারুল ইসলাম অভিযোগ করেন, “৫ মে পাঁচলাইশ থানায় দায়ের করা একটি গুরুত্বপূর্ণ মামলায় সালাউদ্দিন মাঝি ও তার ছেলে ১৩ ও ১৪ নম্বর আসামি হলেও এখনও গ্রেপ্তার হয়নি। এতে আমরা চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।”
সংবাদ সম্মেলনে তিনি প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানান, তার ও তার পরিবারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে দায়েরকৃত মিথ্যা মামলাগুলোর সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে।
একই সঙ্গে গণমাধ্যমের প্রতি তিনি সত্য প্রকাশে সহযোগিতা চেয়ে বলেন, সংবাদ সম্মেলনে মোঃ দিদারুল ইসলামের দুই ভাই—ব্যবসায়ী মোঃ আজগর, ছোটন মিয়া, ব্যবসায়ী মোহাম্মদ আহসান খালেদ, মোঃ জাহাঙ্গীর এবং ব্যবসায়ী হারুন উপস্থিত ছিলেন।
সা/ই