ঢাকা, বাংলাদেশ   সোমবার ১৯ মে ২০২৫, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

খাগড়াছড়ির নিউজিল্যান্ডে যেতে লাগবেনা ভিসা-পাসপোর্ট

হাবিবুর রহমান সুজন, কন্ট্রিবিউটর, খাগড়াছড়ি

প্রকাশিত: ২২:৪৩, ১৮ মে ২০২৫

খাগড়াছড়ির নিউজিল্যান্ডে যেতে লাগবেনা ভিসা-পাসপোর্ট

ছবি- দৈনিক জনকণ্ঠ

প্রায় এক দশক পর নতুন সড়ক নির্মিত হওয়ায় খাগড়াছড়ির ‘নিউজিল্যান্ডের’ সৌন্দর্য বেড়েছে। স্থানীয়দের চলাচল সুবিধার পাশাপাশি তা দর্শনার্থীদের কাছে আর্কষণীয় হয়ে উঠেছে। খাগড়াছড়ির নিউজিল্যান্ডে গেলে লাগবেনা কোনো ভিসা পাসপোর্ট। 

স্থানীয়দের পাশাপাশি বিকেলে পর্যটকদের সমাগম লক্ষ্য করা যায়। খোলা আকাশের নিচে সবুজ মাঠে রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে প্রকৃতির বিশুদ্ধ বাতাস আর নিউজিল্যান্ড সড়ক দাঁড়িয়ে আলুটিলা পাহাড়ের অনন্য সৌন্দর্য উপভোগ করতে প্রতিদিন ভিড় বাড়ছে দর্শনার্থীদের। 

দুই পাশে পাকা ধানের হলুদ মাঠ। মাঝে পিচঢালা সড়ক। অদূরেই আলুটিলা পাহাড়। পাখির চোখে দেখতে অনেকটায় ওশেনিয়া অঞ্চলের দেশ নিউজিল্যান্ডের মতো হওয়ায়  খাগড়াছড়ি পৌরশহরের এই এলাকার নাম ‘ নিউজিল্যান্ড’। খাগড়াছড়ি জেলা সদর থেকে মাত্র দেড় কিলোমিটার দূরের নিউজিল্যান্ড এলাকাটি পানখাইয়া পাড়া ও আপা পেরাছড়াকে যুক্ত করেছে। প্রায় এক দশক প্রায় জরার্জীণ সড়কটি নতুন করে সংস্কার হওয়ায় স্থানীয়দের মাঝে আকর্ষণ বেড়েছে। বিকেলে এখানে দর্শনার্থীদের সংখ্যা বাড়ে কয়েকগুণ। অনেকে আবার প্রাতঃভ্রমণে আসে। দৃষ্টিনন্দন ল্যান্ডস্কেপের কারণে নিউজিল্যান্ডের সৌন্দর্যে মুগ্ধ স্থানীয়রা। প্রতিদিনই শহরের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এখানে এসে ভিড় করছে সৌন্দর্য প্রেমীরা।

ফটোগ্রাফার রনি দেবনাথ জানান, আগে বেশির ক্লাইন্ড ছবি তোলার জন্য আলুটিলা, জেলা পরিষদ পার্ক কিংবা রিছাং ঝর্ণায় যেতো। তবে বর্তমানে নিউজিল্যান্ডের সড়ক টা সম্পূর্ণ হওয়ায় এখানে ছবি তোলার বলে। আমার এখানে আসতে ভালো লাগে। সবুজ প্রকৃতি আর রাস্তার দু'পাশে ধান ক্ষেত সত্যিই সুন্দর। 

দর্শনার্থী সুমাইয়া শিমু জানান, এখানে একধরনের প্রশান্তি আছে। সবুজ মাঠ। দূরে পাহাড়, খুবই ভালো লাগে। এখান থেকে ভালো ছবিও তোলা যায়। এখান থেকে আলুটিলা পার্ক, পাহাড়চূড়া আর সবুজ প্রকৃতির অসাধারণ মেলবন্ধন। সৌন্দর্য উপভোগের পাশাপাশি দীর্ঘদিনের সংস্কার হওয়ায় খুশি স্থানীয়রাও।

ইয়ং মারমা জানান, আগে এই সড়কটি দীর্ঘদিন ব্যবহারের অনুপযোগী ছিল। এখন নতুন সড়ক হওয়ায় আমাদের চলাচলের সুবিধা হয়েছে। রাস্তার প্রশস্তও বর্তমানে বাড়ানো হয়েছে। 

তবে পৌর নাগরিক ও পর্যটকদের আকর্ষণ বাড়াতে সড়কের সৌন্দর্য আরো বাড়ানো হবে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। 

খাগড়াছড়ি পৌরসভা নির্বাহী প্রকৌশলী জহিরুল আলম জানান, দীর্ঘ এক দশকের বেশি সময় পরে সড়কটির নির্মাণ কাজ শেষ করে খাগড়াছড়ি পৌরসভা। খাগড়াছড়ি পৌরশহরকে পর্যটক বান্ধব হিসেবে গড়ে তোলার পাশাপাশি ভবিষ্যতে নিউজিল্যান্ড সড়কের সৌন্দর্য বাড়ানোর জন্য স্ট্রিট লাইট স্থাপন, ফুটপাত নির্মাণ এবং ফুলের গাছ রোপণ করার পরিকল্পনার কথা জানান পৌর কর্তৃপক্ষ।

 প্রায় ১৬শ মিটার দীর্ঘ নিউজিল্যান্ড সড়ক নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ৮ কোটি টাকা।

নোভা

×