ঢাকা, বাংলাদেশ   সোমবার ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১ আশ্বিন ১৪৩১

আজ থেকে বাড়বে

সারাদেশে স্কুল কলেজ খুললেও উপস্থিতি ছিল কম

স্টাফ রিপোর্টার

প্রকাশিত: ২২:৫৩, ৬ আগস্ট ২০২৪

সারাদেশে স্কুল কলেজ খুললেও উপস্থিতি ছিল কম

গত কয়েকদিন দেশজুড়ে চলা সংঘাতে থমকে গেছে দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো

গত কয়েকদিন দেশজুড়ে চলা সংঘাতে থমকে গেছে দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো। বন্ধ রয়েছে সবধরনের পরীক্ষা, ক্লাস কার্যক্রম। তবে খুলতে শুরু করেছে দেশের স্কুল-কলেজ। সোমবার আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) বিজ্ঞপ্তি দেওয়ার পর মঙ্গলবার সারাদেশে খুলেছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। তবে প্রথম দিন শিক্ষার্থী উপস্থিতি হাতেগোনা হলেও শিক্ষকদের আশা আজ থেকে এই সংখ্যা বাড়বে। মঙ্গলবার রাজধানীর একাধিক বিদ্যালয় ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-অভিভাবকরা এ তথ্য জানিয়েছেন।
রাজধানীর মতিঝিল আইডিয়াল স্কুলের দিবা শাখায় শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৩৬২১। স্কুল খোলার প্রথম দিন ১৫০ শিক্ষার্থী উপস্থিত হয়েছিল। দেশব্যাপী টানা সংঘাতে এখনো শিক্ষার্থীদের মধ্যে ভীতি কাজ করছে। যে কারণে অনেক অভিভাবক নির্দিষ্ট সময়ের আগেই তাদের সন্তানদের স্কুল থেকে নিয়ে গেছেন। 
স্কুলের সহকারী প্রধান শিক্ষক রকোনুজ্জামান সেখ জনকণ্ঠকে বলেন, সকাল সকাল স্কুল খুললেও শিক্ষার্থীদের উপস্থিতির হার ছিল কম। বাচ্চাদের মানসিক অবস্থাও খারাপ। তিনি বলেন, পরিস্থিতি ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছে। আস্তে আস্তে ভীতিও কেটে যাবে। ফলে বুধবার উপস্থিতি অনেক বাড়বে। বাচ্চাদের মধ্যে আবারও প্রাণচাঞ্চল্য ফিরে আসবে।

রাজধানীর উদয়ন উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ জোহরা বেগম বলেন, একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি চলছে, তারা আসছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজ চলছে। কাল থেকে সব শিক্ষার্থী উপস্থিত থাকবে, পুরোপুরি শিক্ষা কার্যক্রম চলবে। রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকার কিশলয় বালিকা বিদ্যালয় ও কলেজের অধ্যক্ষ মো. রহমত উল্লাহ্ বলেন, প্রতিষ্ঠান খোলা। ছাত্রীরাও এসেছে, তবে উপস্থিতি কম।

দুই-একদিনের মধ্যে উপস্থিতি বেড়ে যাবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষকদের উপস্থিতির হার সন্তোষজনক হলেও মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরে (মাউশি) সেভাবে কোনো কর্মকর্তাকে অফিস করতে দেখা যায়নি। অধিকাংশকেই তাদের নির্ধারিত কক্ষে পাওয়া যায়নি। দুই-একজনকে দেখা গেলেও তারা প্রবেশপথে অবস্থান করছিলেন। এদিন ছিলেন না মহাপরিচালকও।
সোমবার রাতে আইএসপিআরের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মঙ্গলবার সকাল হতে বাংলাদেশের সকল সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত, আধা স্বায়ত্তশাসিত, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, কলকারখানা, স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা, বিশ্ববিদ্যালয়সহ সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা থাকবে।
উল্লেখ্য, কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সহিংসতার কারণে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা বিবেচনায় গত ১৬ জুলাই রাতে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর উপাচার্যদের সব বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধের নির্দেশনা দেয়। পরদিন শিক্ষা মন্ত্রণালয় গত ১৭ জুলাই থেকে মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও কলেজ অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে। ১৮ জুলাই থেকে দেশের আট বিভাগীয় শহরের সিটি করপোরেশনের এলাকাভুক্ত সকল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।

×