ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ০২ মে ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১

উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যানের হয়ে পরীক্ষা দিতে এসে ধরা তরুণী

প্রকাশিত: ২০:৩৫, ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪

উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যানের হয়ে পরীক্ষা দিতে এসে ধরা তরুণী

গ্রেফতারকৃত তরুণী

উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএ/বিএসএস পরীক্ষায় চুয়াডাঙ্গা আলমডাঙ্গা উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান কাজী মারজাহান নিতুর স্থলে প্রক্সি দিতে এসে সালমা খাতুন নামে অনার্স পড়ুয়া এক শিক্ষার্থী আটক হয়েছেন। উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএ/বিএসএস পরীক্ষায় চুয়াডাঙ্গা আলমডাঙ্গা উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান কাজী মারজাহান নিতুর স্থলে পক্সি দিতে এসে সালমা খাতুন নামে 

শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) আলমডাঙ্গা মহিলা ডিগ্রি কলেজে চলমান উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএ/বিএসএস পরীক্ষাকেন্দ্র থেকে তাকে আটক করা হয়। আটক সালমা খাতুন আলমডাঙ্গা সরকারি কলেজের ইসলামের ইতিহাস বিভাগের অনার্স ৩য় বর্ষের শিক্ষার্থী ও পৌর এলাকার রাধিকাগঞ্জের জহুরুল ইসলামের মেয়ে। সে সময় প্রবেশপত্রের ছবির সঙ্গে চেহারায় মিল না থাকায় কক্ষ পরিদর্শক তাকে বহিষ্কার করেন।

জানা গেছে, উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত হওয়ার জন্য ডিগ্রি পাস করার উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ উন্মক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে রেজিস্ট্রেশন করেছিলেন আলমডাঙ্গা উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান কাজী মারজাহান নিতু। তার শিক্ষার্থী আইডি নং ২০-০-২৩-৪০৬-০৮৪ । সহকারী কমিশনার (ভূমি) রেজওয়ানা নাহিদ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে তাকে এক বছরের কারাদণ্ড ও আর্থিক জরিমানা করেন।

তিনি জানান, ৩ ফেব্রুয়ারি থেকে উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে বিএ/ বিএসএস’র ৪র্থ সেমিস্টারর পরীক্ষা চলছে। আলমডাঙ্গা উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান কাজী মারজাহান নিতু পরীক্ষার্থী ছিলেন। তার শিক্ষার্থী আইডি নং ২০-০-২৩-৪০৬-০৮৪। ইতোমধ্যে দুটি পরীক্ষা শেষ হয়ে গেছে। ১০ ফেব্রুয়ারি ছিল ৩য় পর্বের সমাজতন্ত্র পরীক্ষা। গত ২ দিনের মতো পরীক্ষা দিতে যাননি কাজী মারজাহান নিতু। তার পরিবর্তে যথাসময়ে আলমডাঙ্গা মহিলা ডিগ্রি কলেজ কেন্দ্রে উপস্থিত হয়ে পরীক্ষায় অংশ নেন সালমা খাতুন। বিপত্তি বাধে কক্ষ পরিদর্শকের উত্তরপত্র স্বাক্ষরের সময়। কক্ষ পরিদর্শক প্রবেশপত্রের ছবির সঙ্গে সালমা খাতুনের কোনো মিল পাননি। ফলে জিজ্ঞাসাবাদে ফেঁসে যান সালমা খাতুন। তাকে নিয়ে যাওয়া হয় কেন্দ্র সচিবের কক্ষে। বিষয়টি জানতে পেরে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন সহকারী কমিশনার (ভূমি)  রেজওয়ানা নাহিদ। তিনি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে সালমা খাতুনকে ১ বছরের কারাদণ্ড ও ২শ’ টাকা জরিমানা করেন।

আলমডাঙ্গা থানার ওসি শেখ গনি মিয়া জানান, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান কাজী মারজান নিতুর পক্ষে অনার্স পড়ুয়া এক শিক্ষার্থী উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষার পক্সি দিতে যান। প্রবেশপত্রের ছবির সঙ্গে মিল না থাকায় সালমা খাতুন নামের ওই শিক্ষার্থীকে কক্ষ পরিদর্শক জিজ্ঞাসা করলে জানায় উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যানের পক্ষে পরীক্ষা দিতে এসেছিলেন। অন্যের পরীক্ষা দেওয়ার অপরাধে ভ্রাম্যমাণ আদালত তাকে ১ বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন। আর ২শ’ টাকা জরিমানা করেছেন। ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক সাজা শেষে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছেন। সন্ধ্যায় তাকে পুলিশ প্রহরায় চুয়াডাঙ্গা জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

 

এস

সম্পর্কিত বিষয়:

×