ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ০৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৩ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১

যে দাবি জানাল এনটিআরসিএর নিবন্ধিত ১২ হাজার শিক্ষক

প্রকাশিত: ২০:২৮, ৯ ডিসেম্বর ২০২৩

যে দাবি জানাল এনটিআরসিএর নিবন্ধিত ১২ হাজার শিক্ষক

নিয়োগ বঞ্চিত শিক্ষক ফোরাম

শর্তহীনভাবে সরাসরি নিয়োগের দাবি জানিয়েছেন বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) পরীক্ষায় অংশ নিয়ে নিবন্ধন সনদ পাওয়া প্রায় ১২ হাজার শিক্ষক।

তাদের অভিযোগ—প্রথম থেকে ১২তম ব্যাচের ১২ হাজার নিবন্ধিত শিক্ষক অজ্ঞাত কারণে নিয়োগবঞ্চিত হয়ে কষ্টে দিনাতিপাত করছেন। অথচ ৬০ হাজার জাল সনদধারী শিক্ষক বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে শিক্ষকতা করছেন।

শনিবার (৯ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন এনটিআরসির নিবন্ধিত নিয়োগ বঞ্চিত শিক্ষক ফোরামের নেতারা। তারা দ্রুত শর্তহীনভাবে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে তাদের নিয়োগ দিয়ে শিক্ষকতা করার সুযোগের দাবি জানান।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পড়ে শোনান ফোরামের সভাপতি নীলিমা চক্রবর্তী। তিনি বলেন, এনটিআরসির গঠনপ্রণালীতে ছিল—দক্ষ ও যোগ্য শিক্ষক খুঁজে বের করার লক্ষ্যে পরীক্ষার মাধ্যমে উত্তীর্ণ প্রার্থীদের সনদ দেওয়া। সেই হিসেবে আমরা নিবন্ধন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে সনদ অর্জন করেছি। তাহলে আজকে কেন আমাদের অদক্ষ ও অযোগ্য বলা হচ্ছে?

তিনি বলেন, পরীক্ষার মাধ্যমে কখনো ১৮ শতাংশ, ২২ শতাংশ, ১৭ শতাংশ প্রার্থীকে সনদ দেওয়া হয়েছে। সনদপ্রাপ্তদের মধ্য থেকেও ভবিষ্যতে কাউকে বঞ্চিত করা হবে এমন কোনো কথা তো তখন বলা হয়নি। সে সময় পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ ছিল বয়সের কোনো সীমাবদ্ধতা নেই। ৪০ নম্বর অর্জন করলে নিয়োগযোগ্য বলে বিবেচনা করা হবে। অথচ আজকে আমাদের মেধাহীন বলা হচ্ছে।

‘রাষ্ট্রপতির অধ্যাদেশে প্রথম থেকে ১২তম ব্যাচের নিবন্ধনধারীদের সনদের মেয়াদ আজীবন। এখন এক্ষেত্রেও ৩৫ বছরের ঊর্ধ্বে নিয়ম বিবেচনা করে আমাদের বঞ্চিত করার পাঁয়তারা করা হচ্ছে। আইনে আমরা নিয়োগযোগ্য না—এ কথা বারবার বলা হচ্ছে। অথচ হাইকোর্ট, সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের রায় আমাদের পক্ষে। তারপরও আমাদের আইনের দোহাই দিয়ে বারবার বঞ্চিত করা হচ্ছে।’

নীলিমা চক্রবর্তী বলেন, আমাদের প্রত্যাশা ছিল আমরা যেহেতু সনদ লাভ করেছি, জাতীয় মেধা তালিকায় স্থান করে নিয়েছি, যেকোনো সময়ে নিয়োগ আমাদের অবশ্যই হবে। কিন্তু আজকে নির্মম পরিহাস এই যে, আমাদের প্রত্যাশা, আশা-আকাঙ্ক্ষার কোনো মূল্যায়ণই এনটিআরসি করছে না। আমরা মনে করি—বঞ্চিত নিবন্ধন সনদধারীরা শর্তহীনভাবে সরাসরি নিয়োগ পাওয়ার অধিকার রাখেন। এ বিষয়ের যৌক্তিক সমাধানে আমরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ফোরামের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক কামরুল ইসলাম, সিনিয়র সহ-সভাপতি নাসরিন সুলতানা, সহ-সভাপতি জান্নাতুল ফেরদৌস, সাংগঠনিক সম্পাদক সামিউল আলম, দপ্তর সম্পাদক দুলাল হোসেন প্রমুখ।

 

এবি

×