ঢাকা, বাংলাদেশ   সোমবার ১২ মে ২০২৫, ২৯ বৈশাখ ১৪৩২

সহপাঠী থেকে প্রেম-বিয়ে, একসঙ্গেই হলেন বিসিএস ক্যাডার

প্রকাশিত: ১৭:৫৫, ১৯ আগস্ট ২০২৩; আপডেট: ১৮:১৯, ১৯ আগস্ট ২০২৩

সহপাঠী থেকে প্রেম-বিয়ে, একসঙ্গেই হলেন বিসিএস ক্যাডার

মুসফিকুর রহমান সিফাত ও  ফাতেমা তুজ্জোহরা শোভা।

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) প্রাক্তন শিক্ষার্থী মুসফিকুর রহমান সিফাত ও ফাতেমা তুজ্জোহরা শোভা। সহপাঠী থাকা অবস্থাতেই তাদের মধ্যে গড়ে ওঠে প্রেমের সম্পর্ক। এরপর বিয়ে করেন তারা। এমনকি, একসঙ্গে বিসিএস ক্যাডারও হলেন এই দম্পতি।
 
৪১তম বিসিএসের চূড়ান্ত ফলাফলে সিফাত কৃষি ক্যাডারে ও শোভা কর ক্যাডারে সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েছেন। এর পেছনে একে অপরকে অনুপ্রেরণা মনে করেন তারা।

আরও পরুন:‘জেলার’ দেখলেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো

জানা যায়, বাকৃবিতে ২০১৩-১৪ শিক্ষাবর্ষে কৃষি অনুষদের ভর্তি হন সিফাত ও শোভা। এরপর কৌলিতত্ত্ব ও উদ্ভিদ প্রজনন বিভাগ থেকে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন তারা। ২০২২ সালের ৩ মার্চ বিয়ে হয় তাদের। বিসিএসের জন্য একসঙ্গে পড়াশোনা শুরু করেছিলেন অনার্স চতুর্থ বর্ষ থেকে। ক্লাস শেষে লাইব্রেরীতে বিসিএস এর গুরুত্বপূর্ণ পড়াশোনা নিয়ে প্রতিদিনই আলোচনা করতেন তারা। 

শোভা বলেন, ‘আমাদের গল্প ও অবসর সবকিছুই ছিল চাকরি ও বিসিএস এর পড়াশোনা বিষয় ভিত্তিক। এ বিষয়গুলো যখন আমরা আলোচনা করতাম তখন কেউই বিরক্ত বোধ করতাম না। লিখিত পরীক্ষায় দুইজন পাস করার পর ভাইবার প্রস্তুতি হিসেবে আমরা পরস্পরকে সব সময় ভাইবার প্রশ্নগুলো জিজ্ঞাসা করতাম। বিকেলে চা খাওয়া বা রাতে ঘুমানোর আগে হঠাৎই আমরা এই প্রশ্নগুলো একে অপরকে জিজ্ঞাসা করতাম। যাতে আমরা যেকোনো সময় যে কোন প্রশ্নে ঘাবড়ে না যাই। ফলে ভাইবা বোর্ডে আমি সাধারণভাবেই কথা বলেছি।’

সবকিছুতেই স্বামী সিফাতকে কৃতিত্ব দিয়ে শোভা বলেন, ‘আমার স্বামী আমার বন্ধু। ৪১তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষার ফলাফল দিতে যখন অনেকটা সময় লেগে গেল, সেই কঠিন সময়ে ধৈর্য ধারণে তিনি আমাকে সহায়তা করেছেন। আমার ক্ষেত্রে আমার শ্বশুর-শাশুড়ি, বাবা-মা, বোন ও স্বামীর ব্যাপক সাপোর্ট ছিল, যা মানসিকভাবে আমাকে বিসিএসের প্রস্তুতি নিতে সহায়তা করেছে।’ 

এদিকে, বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে একাধিক জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় কাজ করেছেন মুসফিকুর রহমান সিফাত। ছিলেন বাকৃবি সাংবাদিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক। কিন্তু সবকিছুর পরেও নিজের লক্ষ্যে ছিলেন অবিচল। অনুপ্রেরণা হিসেবে পাশে পেয়েছেন স্ত্রী শোভাকে।

মুসফিকুর বলেন, ‘জীবনের কঠিন সময়ে আত্মবিশ্বাস হারালে চলবে না। নিন্দুকের কথায় ভেঙে পড়া যাবে না। পরবর্তীতে আবার নতুন করে চেষ্টা ও পরিশ্রম চালিয়ে যেতে হবে। মনে রাখতে হবে সৃষ্টিকর্তা পরিশ্রমকারীদের জন্য অবশ্যই সঠিক সময়ে ভালো কিছু রেখেছেন। আমার স্ত্রী আমার এই কঠিন সময়গুলোতে পাশে থেকে অনুপ্রেরণা দিয়েছে। তার প্রতিও কৃতজ্ঞ আমি।’

এম হাসান

×