
বক্তিগত গাড়ি
স্কুল-কলেজে শিক্ষার্থীদের যাতায়াতে বক্তিগত গাড়ি ব্যবহার কমানোর উদ্যোগ নিচ্ছে সরকার। এ সংক্রান্ত একটি প্রস্তাবনা তৈরি করতে কমিটি গঠন করেছে শিক্ষা মন্ত্রনালয়। সম্প্রতি শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনির সভাপতিত্বে এক সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
সভা সূত্রে জানা যায়, রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অনেক শিক্ষার্থী ব্যক্তিগত গাড়িতে যাতায়াত করেন। এতে প্রচুর পরিমানে জ্বালানী খরচ হচ্ছে। জ্বালানি সাশ্রয় ও কৃচ্ছতা সাধনে শিক্ষার্থীদের পরিবহনে ব্যক্তিগত যানবাহনের ব্যবহার যৌক্তিকীকরণ এবং প্রয়োজনীয় যানবাহনের ব্যবস্থা করার জন্যই এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদ বলেন, শিক্ষার্থী পরিবহনে ব্যক্তিগত গাড়ির ব্যবহারের বিষয়ে সম্প্রতি একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় ৮ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়েছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. আবু বকর ছিদ্দীকের নেতৃত্বে এ কমিটিতে আছেন- কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের প্রতিনিধি, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের প্রতিনিধি, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের প্রতিনিধি, একজন নগর বিশেষজ্ঞ ও একজন পরিবহন বিশেষজ্ঞ।
কমিটির কার্যপরিধিতে বলা হয়েছে, নগর পরিবহনের বিষয়ে বেষ্ট প্রাকটিস পর্যালোচনা; বর্তমান শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যানবাহন ব্যবহারের বিষয়ে পর্যালোচনা; শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পরিবহন ব্যবস্থার ক্ষেত্রে আর্থিক সংশ্লিষ্টতা ও প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দের উৎস সম্পর্কে পর্যালোচনা; সার্বিক বিষয় বিবেচনা করে ব্যক্তিগত পরিবহন ব্যবহার কমানো ও স্কুল কর্তৃক পরিবহন ব্যবস্থা চালুর বিষয়ে স্থায়ী সুপারিশ প্রণয়ন।
এর আগে সম্প্রতি ‘স্কুলবাস সার্ভিস প্রবর্তনসংক্রান্ত প্রাথমিক কর্মকৌশল নির্ধারণবিষয়ক’ শীর্ষক এক সভায় ঢাকা উত্তর সিটিকর্পোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, ব্যক্তিগত গাড়ি নিয়ে স্কুলে আসা যাবে না। স্কুলে যাতায়াতের জন্য ঢাকা উত্তর সিটির ব্যবস্থাপনায় স্কুলবাস চালু করা হবে। পরীক্ষামূলকভাবে প্রথমে চারটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে স্কুলবাস সেবা চালু হবে। স্কুলবাস চালুর পরে শিক্ষার্থীদের নিয়ে আসা কোনো ব্যক্তগত গাড়ি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ১০০ গজের মধ্যে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না।
এমএইচ