
ব্যবসাবান্ধব কর ও ভ্যাট নীতি প্রণয়ন
ক্ষুদ্র ও মাঝারি মানের (এসএমই) শিল্পকারখানা টিকিয়ে রাখতে ব্যবসাবান্ধব কর ও ভ্যাট নীতি প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। উদ্যোক্তারা মনে করেন, বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থান বাড়াতে হলে আগে ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ তৈরি করতে হবে। সম্প্রতি স্টিল আমদানি পর্যায়ে পূর্বের ন্যায় ৫% আগাম কর রাখার জোর দাবি জানিয়েছেন এ খাতের উদ্যোক্তারা। একইসঙ্গে তারা ব্যবসাবান্ধব কর ভ্যাট ও শুল্কনীতির ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন।
বাংলাদেশ আয়রন অ্যান্ড স্টিল ইম্পোর্টার অ্যাসোসিয়েশনের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও এফবিসিসিআইয়ের সাবেক পরিচালক আমির হোসেন নূরানী বলেন, আগে ট্রেড লাইসেন্স পেতে ৫০০ থেকে ১ হাজার টাকা খরচ হলেও এখন একজন উদ্যোক্তাকে ৫ হাজার থেকে ৫০ হাজার টাকা খরচ করতে হয়। শুধু তাই নয় ২৭ ধরনের কাগজপত্র লাগে ট্রেড লাইসেন্স পেতে। এটা এক ধরনের হয়রানি।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, কারখানা চালাতে পরিবেশ অধিদপ্তরে ২১ ধরনের কাগজপত্র জমা দিতে হয়। পরিবেশ অধিদপ্তরে ঘুষ ছাড়া কোনো কাজই হয় না। আমির হোসেন নূরানী বলেন, কারখানায় উৎপাদিত পণ্যের বিএসটিআই করা বাধ্যতামূলক। কিন্তু এখানে আবেদন করলে ছয়মাস সময় লাগে অনুমোদন পেতে। বর্তমান ঋণের বিপরীতে ব্যাংক সুদ ১৪ থেকে ১৮ শতাংশ। এলসিতে ১০০ ভাগ মার্জিন দিতে হচ্ছে। এ অবস্থায় শিল্পকারখানা দিনদিন বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। যেন বড় মাছ ছোট মাছ খেয়ে ফেলছে। তিনি বলেন, বন্দরে শুল্কায়ন জটিলতা বাড়ছেই।
ভিয়েতনাম, জাপান ও সিঙ্গাপুরে ২৪ ঘণ্টায় বন্দর থেকে পণ্য ডেলিভারি হয়, অথচ এদেশে সেই ডেলিভারি ১৪ দিনেও পাওয়া যায় না। নিজের আয়রণ ও স্টিল খাত সম্পর্কে তিনি বলেন, আমরা যে পণ্য আমদানি করে থাকি, তা মূলত সেকেন্ডারি কোয়ালিটি স্টিল। যা দেশের প্রায় ২৫ লক্ষ ক্ষুদ্র, মাঝারি ও বৃহৎ শিল্পের কাঁচামাল। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ সন্তায় লৌহজাত শিল্পের কাঁচামাল যোগান দেওয়ার জন্য সেকেন্ডারি কোয়ালিটি স্টিল সিট ও কয়েল কাঁচামাল হিসেবে বাণিজ্যিকভাবে আমদানি করে থাকে।
আমাদের দেশে লোহার খনি বা আকরিক না থাকায় এ ধরনের কাঁচামালের আমদানির ওপর নির্ভর করতে হয়। ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জাতীয় বাজেটে মূল্য সংযোজন ও সম্পূরক শুল্ক আইন-২০১২ এর ধারা- ৩১ এর উপধারা ২ এ সংশোধনী আনয়ন করা হয়। উক্ত ধারায় আমদানি পর্যায়ে পূর্ববর্তী বাজেটে ৫% হারে আগাম কর বলবৎ ছিল। যা বৃদ্ধি করে ৭.৫% করা হয়েছে।
প্যানেল হু