
ছবি: জনকণ্ঠ
ফেডারেশন অব বাংলাদেশ কাস্টমস ক্লিয়ারিং অ্যান্ড ফরওয়ার্ডিং এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশন–এর সভাপতি মোঃ মিজানুর রহমান এবং মহাসচিব এস. এম. সাইফুল আলম এক বিবৃতিতে বলেছেন, অংশীজনের সাথে আলোচনা ব্যতিরেকে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) বিলুপ্ত করে ‘রাজস্ব নীতি বিভাগ’ ও ‘রাজস্ব ব্যবস্থাপনা বিভাগ’ নামে দুটি নতুন বিভাগ গঠনের মাধ্যমে অধ্যাদেশ জারির ফলে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে দেশের সকল শুল্ক স্টেশন ও বন্দরের কার্যক্রম যথাযথভাবে চলমান নেই। এর ফলে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য কার্যত অচল হয়ে পড়েছে।
বিবৃতিতে তারা আরও বলেন, আমদানিকারক-রপ্তানিকারকগণসহ সংশ্লিষ্ট সকল স্টেকহোল্ডার অপূরণীয় আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন, পাশাপাশি রাজস্ব এবং বৈদেশিক মুদ্রা আহরণ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। পণ্যের সময়মতো ডেলিভারি না হওয়ায় বন্দরে জায়গা স্বল্পতার কারণে পণ্যজট সৃষ্টি হয়েছে, জরুরি সেবা বিঘ্নিত হয়েছে, এবং রপ্তানিমুখী শিল্পের কাঁচামাল সরবরাহে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়েছে, যার ফলে বহু শিল্পপ্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে।
তারা বলেন, এতে সরকার যেমন হাজার হাজার কোটি টাকার রাজস্ব হারাচ্ছে, তেমনি পণ্যের নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহ না থাকায় মূল্যস্ফীতি বেড়ে চলছে। উপরন্তু, আমদানি-রপ্তানির সাথে সংশ্লিষ্ট বিপুলসংখ্যক স্টেকহোল্ডার কর্মহীন হয়ে পড়েছেন, যা দেশের সামগ্রিক উন্নয়নে অন্তরায় হয়ে দাঁড়িয়েছে।
ফেডারেশন আশঙ্কা প্রকাশ করেছে, এই পরিস্থিতিতে সারাদেশে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি হতে পারে। তারা জানান, অর্থ উপদেষ্টা ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে চিঠির মাধ্যমে অবহিত করা হলেও এখন পর্যন্ত কোনো কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি।
তাদের মতে, বিদ্যমান পরিস্থিতি নিরসনে জরুরি ভিত্তিতে সকল অংশীজনের সাথে আলোচনা করে বাস্তবসম্মত সমাধান গ্রহণ করা অত্যন্ত জরুরি।
কাওসার/শহীদ