ঢাকা, বাংলাদেশ   সোমবার ১২ মে ২০২৫, ২৯ বৈশাখ ১৪৩২

আলোচনায় বিএসইসির কমিশনার মোহসিনের শেয়ার ব্যবসা

অর্থনৈতিক রিপোর্টার

প্রকাশিত: ২১:৩৬, ১১ মে ২০২৫

আলোচনায় বিএসইসির কমিশনার মোহসিনের শেয়ার ব্যবসা

মো. মোহসিন চৌধুরী

শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) কমিশনার মো. মোহসিন চৌধুরী দেশের শেয়ারবাজারে কেলেঙ্কারির নতুন নজির গড়েছেন। 
শেয়ারবাজারে চলতি আইন ভেঙ্গে নিজ নামে শেয়ার ব্যবসার মাধ্যমে এই ইতিহাস সৃষ্টি করেছেন। এতদিন বিএসইসির জুনিয়র পর্যায়ের কর্মকর্তাদের শেয়ার লেনদেন নিয়ে আলোচনা হলেও কমিশনারের নামে এই অনিয়ম হয়নি। এই বিষয়টি নিয়ে চলছে সর্বত্র আলোচনা।
বর্তমানে মোহসিন বিএসইসির দ্বিতীয় সর্বোচ্চ কর্মকর্তা এবং গুরুত্বপূর্ণ বিভাগগুলোর দায়িত্বে আছেন। তার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) আওতাধীন ‘জিরো ওয়ান লিমিটেড’ নামে একটি ব্রোকারেজ হাউজে তার সক্রিয় বিও অ্যাকাউন্টের তথ্য মিলেছে। ওই বিও অ্যাকাউন্ট নম্বর ১২০৪১৫০০৭৪৫১৮৭৩৪। ট্রেডিং কোড (ব্রোকারেজ হাউজে লেনদেনের সংক্ষিপ্ত নম্বর) ৪৬৩।
অনুসন্ধানে আরও জানা গেছে, বর্তমানে তার (মো. মোহসিন চৌধুরী) ওই অ্যাকাউন্টে বাজারে সবচেয়ে বিতর্কিত কোম্পানি বেক্সিমকো লিমিটেডের ২ হাজার ২৩১টি শেয়ার আছে। বেক্সিমকো ছাড়াও ৮টি কোম্পানির শেয়ার লেনদেন করেছেন তিনি।
অথচ ২০১১ সালের ১১ এপ্রিল, বিএসইসি থেকে জারি করা প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ‘কমিশনের কোনো কর্মকর্তা বা কর্মচারী নিজ বা স্বামী/স্ত্রী, পিতা-মাতা, ছেলেমেয়ে ও পোষ্যদের নামে প্রাইমারি বা সেকেন্ডারি মার্কেটে সিকিউরিটিজ লেনদেন করতে কিংবা উক্ত প্রকার লেনদেনে কোনোভাবে সম্পৃক্ত থাকতে পারবেন না। পরবর্তীতে সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ অধ্যাদেশ ১৯৯৩ (সংশোধিত) ইনসাইডার ট্রেডিং আওতায় আনা হয়।

কিন্তু কোনো কিছুই আমলে নেননি তিনি। জানতে চাইলে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অর্থ উপদেষ্টা ড. এবি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম বলেন, বিএসইসির কর্মকর্তারা শেয়ার লেনদেন করতে পারেন না। ঘটনা সত্য হলে তা গর্হিত কাজ। বিষয়টি তদন্ত করে সরকারের ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।

×