ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ০৫ অক্টোবর ২০২৪, ২০ আশ্বিন ১৪৩১

সহায়তা অব্যাহত রাখবে জাইকা ও অস্ট্রেলিয়া : অর্থ উপদেষ্টা

এডিবির কাছ থেকে পাওয়া যাবে ৪০ কোটি ডলার

অর্থনৈতিক রিপোর্টার

প্রকাশিত: ২৩:০৬, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪

এডিবির কাছ থেকে পাওয়া যাবে ৪০ কোটি ডলার

এডিবির কাছ থেকে পাওয়া যাবে ৪০ কোটি ডলার

চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরে বাজেট সহায়তা হিসেবে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) কাছ থেকে ৪০ কোটি মার্কিন ডলার পাওয়া যাবে বলে জানিয়েছেন অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ। আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে এই অর্থ পাওয়া যাবে বলে আশা করছে সরকার।

রবিবার সচিবালয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের নিজ দপ্তরে এডিবি ও জাপানের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থার (জাইকা) প্রতিনিধি দল এবং ঢাকায় নিযুক্ত অস্ট্রেলিয়ার হাই কমিশনারের (ভারপ্রাপ্ত) সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে অর্থ উপদেষ্টা সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। 
ওই সময় সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, তহবিল দেওয়ার বিষয়ে তিন পক্ষই (এডিবি, জাইকা ও অস্ট্রেলিয়া) ইতিবাচক মনোভাব পোষণ করেছে। এডিবির কাছ থেকে বাজেট সহায়তা পাওয়া যাবে। আশা করছি, সংস্থার কাছ থেকে ডিসেম্বর মাসের মধ্যেই ৪০০ মিলিয়ন ডলার বা ৪০ কোটি ডলার পাওয়া যাবে। এ ছাড়া ৪৭০ কোটি ডলারের ঋণ চুক্তির আওতায় আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) কাছ থেকে আমরা নতুন করে আরও ৩০০ কোটি ডলারের বাজেটে সহায়তা চেয়েছি।

এ ছাড়া এডিবির অনেকগুলো প্রকল্প রয়েছে। সেগুলো এডিবি চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। একই সঙ্গে ভবিষ্যতে যাতে আরও বেশি সহযোগিতা করে সেটা তাদের বলা হয়েছে। আমরা ভবিষ্যতে কি কি করব সেসব বিষয়ে সংস্থাটিকে বলা হয়েছে। সেখানেও তারা প্রয়োজন মতো সহায়তার আশ্বাস দিয়েছে। 
অর্থ উপদেষ্টা আরও বলেন, জাইকা আমাদের গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়ন অংশীদার। দেশের অনেকগুলো গুরুত্বপূর্ণ প্রজেক্টে তাদের অর্থায়ন রয়েছে। ভৌত অবকাঠামো ঋণগুলো আমরা কন্টিনিউ করতে বলেছি, সেটা ওরা করবে। এ ছাড়া আরও দুটি বিষয়ে কথা বলেছি। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও টেকনিক্যাল বিষয়ও রয়েছে। বৈদেশিক ঋণের ফ্লো কমে গেছে কিনা, সাংবাদিকদের প্রশ্নে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, বৈদেশিক ঋণের ফ্লো ঠিক ছিল। ফ্লো একেবারে কম আসেনি। কিন্তু এগুলোর ব্যবহার নিয়ে অনেক প্রশ্ন আছে।

সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, যারা এসেছিলেন তারা সবাই আমাদের উন্নয়ন সহযোগী। আমরা সবার সঙ্গে আলাপ করেছি। তাদের যেসব সহায়তা চলমান সেসব আরও জোরদার করতে বলা হয়েছে। 
অস্ট্রেলিয়াও আমাদের গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়ন অংশীদার। কারণ তারা যেসব সহায়তা করে সেটা সরাসরি অর্থনীতিতে প্রভাব ফেলে। ইউরোপ, কানাডা ও ইউকে ছাড়া অস্ট্রেলিয়া অনেক বড় দেশ। তারা যে সহযোগিতা করে সেটা তহবিল হিসেবে করে।

তারা আঞ্চলিক বাণিজ্য বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। আমরা বলেছি, বাংলাদেশের আঞ্চলিক বাণিজ্য খুব সীমিত দেশের সঙ্গে। অস্ট্রেলিয়া যদি এখানে আসে আমরা আশিয়ানের অন্তর্ভুক্ত হতে পারব। তিনি বলেন, আঞ্চলিক বাণিজ্য বেশি প্রয়োজন। সেখানে আমাদের অবস্থান খুব সীমিত। তাই অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে আমাদের অর্থনৈতিক ভবিষ্যৎ আছে। তারা এনার্জি ও কৃষি খাতে বিনিয়োগ করতে চায়। সার্বিকভাবে তিনটা উন্নয়ন সহযোগী দেশের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। তারা আমাদের আশ্বস্ত করেছে।

×