১০ দিনে রেমিটেন্স এসেছে ৪৮ কোটি ডলার
চলতি আগস্ট মাসের ১০ দিনে ব্যাংকিং চ্যানেলে বৈধ পথে প্রবাসী আয় এসেছে ৪৮ কোটি ২৭ লাখ ৭০ হাজার মার্কিন ডলার। আগের মাস জুলাই ও আগের বছরের আগস্ট মাসের চেয়ে এই আয় কম। সোমবার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রকাশিত হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে। এদিকে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর দেশে প্রবাসীদের পাঠানো রেমিটেন্সের প্রবাহ বাড়ছে। রেমিটেন্স পাঠাতে মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরসহ বিভিন্ন দেশের এক্সচেঞ্জ হাউসগুলোতে বেড়েছে প্রবাসীদের ভিড়।
তথ্য অনুযায়ী, আগস্টের প্রথম ১০ দিনে প্রতিদিন গড়ে প্রবাসী আয় এসেছে ৪ কোটি ৮২ লাখ ৭৭ হাজার মার্কিন ডলার। আগের মাস জুলাইয়ে প্রতিদিন প্রবাসী আয় এসেছিল ৬ কোটি ৩৭ লাখ ৮৬ হাজার মার্কিন ডলার। আর আগের বছরের আগস্ট মাসে প্রতিদিন প্রবাসী আয় এসেছিল ৫ কোটি ৩৩ লাখ ১৫ হাজার মার্কিন ডলার। এ হিসাবে আগস্ট মাসে প্রবাসী আয় কমেছে।
মূলত দেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় অসংখ্য প্রবাসী দেশে ডলার পাঠানো বন্ধ করে দেন। ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার পতনের পর রেমিটেন্সের প্রবাহ বাড়তে থাকে। তবে মাসের শুরুতে শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও পরের সপ্তাহের তথ্য বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, শেষের এক সপ্তাহে প্রবাসী আয় কিছুটা বেড়েছে। চলতি আগস্ট মাসের প্রথম ৩ আগস্ট পর্যন্ত দেশে রেমিটেন্স এসেছে ৯ কোটি ৫৬ লাখ ৫০ হাজার ডলার। আর ৪-১০ আগস্ট পর্যন্ত সময়ে ওই তিন দিনের তুলনায় ৪ গুণ বেশি রেমিটেন্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। আলোচ্য সময়ে প্রবাসীরা ৩৮ কোটি ৭১ লাখ ২০ হাজার ডলার রেমিটেন্স পাঠান।
আগস্টের ১০ দিনে যে পরিমাণ রেমিটেন্স দেশে এসেছে, এর মধ্যে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ৪ কোটি ৪৭ লাখ ৩০ হাজার ডলার, বিশেষায়িত একটি ব্যাংকের মাধ্যমে ১ কোটি ৬০ লাখ ১০ হাজার মার্কিন ডলার, বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৪২ কোটি ৮ লাখ ৮০ হাজার ডলার এবং বিদেশী ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ১১ লাখ ৫০ হাজার মার্কিন ডলার।
২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে দেশে রেমিটেন্স আসে ১৯১ কোটি ৩৫ লাখ ৮০ হাজার মার্কিন ডলার, যা আগের ১০ মাসের মধ্যে সর্বনি¤œ। এর আগে ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে রেমিটেন্স এসেছিল ১৩৩ কোটি ডলার। ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জুলাইয়ে আসে ১৯৭ কোটি ৩১ লাখ ডলার। খাত সংশ্লিষ্টরা জানান, গত মাসে কোটা সংস্কার আন্দোলন, ইন্টারনেট ও সংঘাতের কারণে প্রবাসীরা রেমিটেন্স শাটডাউন ঘোষণা দেন।
এর প্রভাবে ওই মাসে রেমিটেন্স প্রবাহ কমে। যার ধারাবাহিকতা ছিল চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহেও। তবে সরকার পতনের পর রেমিটেন্স প্রবাহ বেড়েছে। এর আগে গত জুলাই মাসে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন ও কোরবানি পরবর্তী মাস হওয়ায় প্রবাসী আয় আসা উল্লেখযোগ্য পরিমাণে কমে যায়।