ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ০৪ অক্টোবর ২০২৪, ১৯ আশ্বিন ১৪৩১

বিদায়ী বছরে রেমিট্যান্স বেড়েছে ৬৩ কোটি ডলার

প্রকাশিত: ১৯:৪২, ২ জানুয়ারি ২০২৪; আপডেট: ২০:৪৮, ২ জানুয়ারি ২০২৪

বিদায়ী বছরে রেমিট্যান্স বেড়েছে ৬৩ কোটি ডলার

রেমিট্যান্স, ডলার। 

সদ্য বিদায়ী ২০২৩ সালে দেশে বৈধ পথে রেমিট্যান্স এসেছে ২ হাজার ১৯২ কোটি ডলার, যা আগের বছর চেয়ে ৬৩ কোটি ডলার বেশি। দেশে ২০২২ সালে রেমিট্যান্স এসেছিল ২ হাজার ১২৯ কোটি ডলার।

মঙ্গলবার (২ জানুয়ারি) বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রকাশিত হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
 
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যমতে, ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে প্রবাসীরা রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন ১৯৯ কোটি ডলার, যা গত ৬ মাসের চেয়ে বেশি। আর ২০২২ সালের ডিসেম্বরের চেয়ে ২৯ কোটি ডলার বেশি। ২০২২ সালের ডিসেম্বরে রেমিট্যান্স এসেছিল ১৭০ কোটি ডলার।

২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম ৬ মাসে রেমিট্যান্স এসেছে ১ হাজার ৭৯ কোটি ৮২ লাখ ডলার। আগের অর্থবছরের একই সময়ে রেমিট্যান্স এসেছিল ১ হাজার ৪৯ কোটি ৩২ লাখ ডলার। আলোচ্য সময়ের ব্যবধানে প্রবাসী আয় বেড়েছে  ৩০ কোটি ডলার।

২০২৩ সালের জানুয়ারিতে রেমিট্যান্স এসেছে ১৯৫ কোটি ৮৮ লাখ ডলার, ফেব্রুয়ারি ১৫৬ কোটি, মার্চে ২০২ কোটি, এপ্রিলে ১৬৮ কোটি, মে মাসে ১৬৯ কোটি, জুনে ২২০ কোটি, জুলাইয়ে ১৯৭ কোটি, আগস্টে ১৫৯ কোটি ৯৪ লাখ, সেপ্টেম্বর মাসে ১৩৩ কোটি, অক্টোবরে ১৯৭ কোটি, নভেম্বর ১৯৩ কোটি এবং ডিসেম্বরে ১৯৮ কোটি ৯৮ লাখ ডলার রেমিট্যান্স এসেছে।

বর্তমানে ব্যাংকগুলো আনুষ্ঠানিকভাবে ১০৯.৫০ টাকা দরে প্রবাসী ও রপ্তানি আয়ের ডলার কিনছে। আর আমদানিকারকদের কাছে বিক্রি করছে ১১০ টাকা। তবে, কয়েকটি ব্যাংক সংকটের কারণে রেমিট্যান্সের ডলার কিনেছে ১২৩ থেকে ১২৪ টাকা দরে। ডলারের তীব্র সংকটের কারণে এলসি খুলতে সমস্যা হচ্ছে অনেক ব্যাংকের। এমন পরিস্থিতিতে বছরের শেষ সময়ের দিকে বেশি দামে রেমিট্যান্স কেনার সুযোগ দেওয়া হয়। এতে করে কিছু কিছু ব্যাংক নির্ধারিত দামের চেয়ে ১০ থেকে ১২ টাকা বেশি দিয়ে প্রবাসী আয় কিনেছে। যার ফলে বছরের শেষ সময় রেমিট্যান্স প্রবাহ কিছুটা বেড়েছে। তাছাড়া এবারও প্রবাসী আয় কম হতো।

২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে রেমিট্যান্স এসেছে ১৯৭ কোটি ৩১ লাখ ৫০ হাজার মার্কিন ডলার এবং আগস্টে রেমিট্যান্স এসেছে ১৫৯ কোটি ৯৪ লাখ ৫০ হাজার মার্কিন ডলার। এ ছাড়া, সেপ্টেম্বরে রেমিট্যান্স এসেছিল ১৩৩ কোটি ৪৩ লাখ মার্কিন ডলার, অক্টোবর মাসে এসেছে ১৯৭ কোটি ১৪ লাখ ৩০ হাজার ডলার এবং নভেম্বর মাসে এসেছে ১৯৩ কোটি মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স।    

বিদায়ী ২০২২-২৩ অর্থবছরে মোট রেমিট্যান্স এসেছে ২ হাজার ১৬১ কোটি ৭ লাখ মার্কিন ডলার। আগের ২০২১-২২ অর্থবছরে মোট রেমিট্যান্স এসেছিল ২ হাজার ১০৩ কোটি ১৭ লাখ মার্কিন ডলার। ২০২০-২১ অর্থবছরে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স আহরণ হয়েছিল। যার পরিমাণ ছিল ২ হাজার ৪৭৭ কোটি ৭৭ লাখ মার্কিন ডলার।

 

এম হাসান

সম্পর্কিত বিষয়:

×