
মায়ের পিঠের উপর হামাগুড়ি দেয় বিছার বাচ্চারা।
একটি বিছার একসঙ্গে ১০০টির মতো বাচ্চা হতে পারে। এরা অন্যান্য পোকামাকড়ের মত ডিম থেকে বাচ্চা ফোটানোর পরিবর্তে জীবিত বাচ্চা দেয়। জন্মের সময়, শিশু বৃশ্চিকের বহিঃকঙ্কাল বা বাইরের খোসা খুব নরম হয়।
বিছার বাচ্চাগুলো ১০ থেকে ২০ দিনের জন্য তাদের মায়ের পিঠের উপর হামাগুড়ি দেয়, যতক্ষণ না তাদের এক্সোস্কেলটন শক্ত হয়ে যায়। তারপর তারা হামাগুড়ি দেয় এবং নিজেরাই জীবন শুরু করে।
পৃথিবীতে মাত্র ৩০ বা ৪০টি এমন প্রজাতির প্রাণী আছে যারা আস্ত একটা মানুষকে নিমিষেই মেরে ফেলার মতো বিষ ধারণ করে। বিছা সেইসব প্রাণীদের একটি। এর বিষ এতই ভয়ানক যে তা যে কোনো বিশাল আকৃতির প্রাণীকে কুপোকাত করতে পারে।
বিছাদের শরীরে আটটি পা থাকে ঠিক মাকড়শার মতো। তবে প্রথম দুইটি পাইয়ে বিছাদের দুইটি চিমটা আছে, আর আছে একটি চাবুকের মতো শক্তিশালী ও চলনশীল লেজ। বিছার যখন কোনো প্রাণীকে শিকার করতে হয় আগে সেটিকে চিমটা দিয়ে ধরে তার উপরে লেজটি দিয়ে চাবুকের সপাং করে আঘাত করে। লেজের শীর্ষেই থাকে বিষের সূচ। সেটি শিকারের দেহে প্রবেশ করে।
বিছাদের প্রিয় খাদ্য ছোট ছোট পোকা বা অন্য কোনো জীব। এভাবে পোকামাকড় খেয়ে ওরা দিব্যি জীবন ধারণ করে। তবে খুব বৈরী পরিবেশে যদি পোকামাকড়ের এমনকি অন্য কোনো প্রাণীরও খুব আকাল হয় বিছারা নিজেদের শরীরের কার্যক্রমে অর্ধেকে নামিয়ে আনতে পারে। এই পদ্ধতিতে বিছারা বছরে মাত্র একটি শিকার করে বছর কাটিয়ে দিতে পারে।
এমএইচ